ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

সাকিব আল হাসানের রেস্তোরাঁয় ‘ঝালমুড়ি’

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৫
সাকিব আল হাসানের রেস্তোরাঁয় ‘ঝালমুড়ি’ ছবি: নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দেয়াল যেন সবুজ মাঠ। রিচার্ড হ্যাডলি, ডেনিস লিলি, ডন ব্র্যাডম্যান, ইয়ান বোথাম, কপিল দেব, অ্যালান বোর্ডার- সবাই আছেন! প্রতিকৃতি হিসেবে।

ইংল্যান্ডের লর্ডস, শের-এ-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, শ্রীলঙ্কার গল, জ্যামাইকার স্যাবিনা পার্কের মতো কয়েকটা বিখ্যাত মাঠও দেখা গেলো। কাঠে খোদাই করা। গ্লাভস, বলও আছে।
 
এতো আয়োজন যার, সেই সাকিব আল হাসানই নেই। বাংলাদেশ দল আর কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতে নামা তার একটি করে জার্সিও এঁটে আছে। সশরীরের না থাকলেও চারপাশ জুড়ে যেন সাকিব আর সাকিব। সাকিব’স অলরাউন্ডার ডাইনিং বলে কথা! এখানেই গতকাল বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে হয়ে গেলো ধারাবাহিক নাটক ‘ঝালমুড়ি’র প্রিমিয়ার।
 
সাকিবের রেস্তোরাঁয় সবাই খেতে আসে, ‘ঝালমুড়ি’ও একটা খাবারেরই নাম। অন্যান্য খাবারের মতো এরও রেসিপি আছে। চানাচুর, মরিচ, পেঁয়াজ, মুড়ি, বাদাম, লেবু, গুগনি- এসব মিলেমিশে হয় ঝালমুড়ি। মানুষের জীবনটাও একদিক দিয়ে ঝালমুড়ি! হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ মিলিয়েই জীবন। অন্য পেশার মতো ক্রিকেটারদের জীবনও সাফল্য-ব্যর্থতায় ভরা। প্রতিদিন উইকেট আসে না। প্রতিদিন সেঞ্চুরিও করা যায় না। তেমনি কয়েকজন তরুণ-তরুণীর জীবনের সুখ-দুঃখ হাসি-কান্নার মিলিত রূপেরই প্রতিফলন ‘ঝালমুড়ি’।
 
গল্পটা সংক্ষেপে এমন- কয়েকজন তরুণ তাদের পরিবারের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে একটা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করে। জিদটা হচ্ছে, মা-বাবা-অভিভাবকরা কেনো এতো শাসন করে, বকা দেয়, কথা শোনায়? তাই এবার তারা নিজেরাই একা থেকে জীবনযাপন করে দেখাবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। ওদেরকে পড়তে হয় নানান চ্যালেঞ্জে। তারা একে একে আবিস্কার করে অদ্ভুত সব বাস্তবতা। কখনও ফুর্তি আর কখনও কষ্ট, সবমিলিয়ে শুরু হয় ‘ঝালমুড়ি’র জীবনযাপন।
 
এসব জানালেন রেদওয়ান রনি। তিনি ও নিয়ামুল মুক্তা যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন এটি। এর প্রচার শুরু হতে যাচ্ছে বলেই সাকিব’সে প্রীতি সম্মিলনী ও প্রিমিয়ারের আয়োজন করা হলো। আগামীকাল ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আরটিভির পর্দায় প্রতি শুক্র, শনি ও রোববার রাত ৮টা ২০ মিনিটে দেখা যাবে এটি। নাটকটি লিখেছে রনির গড়া পপক‍র্ন ক্রিয়েটিভ সেল।
 
গতকালের অনুষ্ঠানে ছিলেন আরটিভির অনুষ্ঠান প্রধান দেওয়ান শামসুর রাকিব, ডাবর ভাটিকার ব্র্যান্ড ম্যানেজার ফারজানুল হক, টম ক্রিয়েশন্সেরর হেড অব বিজনেস সায়েদুজ্জামান মিঠু এবং নাটকের কলাকুশলীরা।
 
নাটকটির অভিনয়শিল্পীদের তালিকাটা বেশ লম্বা- মারিয়া নূর, তৌসিফ মাহবুব, অ্যালেন শুভ্র, শবনম ফারিয়া, তাসনুভা তিশা, সুমন পাটওয়ারী, মিশু সাব্বির, মৌটুসী বিশ্বাস, মুমতাহিনা টয়া, সাফা কবির, সাবেরী আলম, সালমান মুক্তাদির, ফারহান জোভান, সাঈম সাদাত, আনন্দ খালেদ, রবিন, সৌমিক আহমেদ, আইরিন আফরোজ, সিফাত, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, মাসুদ রানা মিঠু, শহিদুল আলম, ওয়াসিম, শেলী আহমেদ, রোকসানা পারভিন, সুজাত শিমুল, কাজী উজ্জ্বল প্রমুখ।
 
আলাদা করে বলতে হয় সাইমের নাম। এই তরুণপ্রাণ আর পৃথিবীতে নেই। কিছুদিন আগেই চিরবিদায় নিয়েছেন আকস্মিকভাবে। তাই তার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তারপর দেখানো হয়েছে ‘ঝালমুড়ি’র প্রথম পর্ব। সাইমের কথা স্মরণ করে যারা একটু আগে বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন, তারাই পর্বটি দেখে হো হো করে হাসলেন। এই তো জীবন! একেই বুঝি বলে ‘ঝালমুড়ি’!
 
বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।