চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গান করতে গিয়েছিলো জলের গান। বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলনে।
কারণ হিসেবে জলের গানের সদস্য জেম জানাচ্ছেন, জলের গানকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছেন সংগঠনের নেতৃস্থানীয় একজন। তিনি বললেন, ‘অতিথিশালায় এসে ওই সংগঠক বলে, ‘জলের গানের হাতিগুলারে কী খাওয়াইছো?’ সংগঠনটির আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন সেখানে। কিন্তু কেউ কোনো প্রতিবাদ করেনি। ’ এছাড়াও আতিথেয়তায় আয়োজক কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা ছিলো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জলের গান তাদের অফিসিয়াল পেজে লিখেছে, ‘এমন মন্তব্য আমাদের আত্মমর্যাদায়, আত্মাভিমানে চরম আঘাত হানে। এ যাবৎকালে যতো জায়গায় গিয়েছি, গান করেছি সবখানে আমাদের আচরণে সবাই খুশিই হয়েছেন... আমাদের মন ভেঙে যায়। প্রচন্ড অভিমান ভর করে। এমন মানসিক অবস্থায় গান গাওয়া সমীচীন মনে করিনি। ’
জেম জানাচ্ছেন, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সামাজিক সংগঠনগুলোর কাছ থেকে বেশীরভাগ সময়ই পারিশ্রমিক নেয় না জলের গান। বিনা পারিশ্রমিকেই ব্যান্ডটি ওই অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়েছিলো। সাউন্ড সিস্টেমও নিজেরাই ব্যবস্থা করেছেন। যাতায়াত খরচও ব্যান্ডটির সদস্যরাই বহন করেছেন।
এ ঘটনার পর জলের গান কনসার্ট না করে চলে আসে। পরবর্তীতে তাদের সাউন্ড সিস্টেমও আটকে রাখা হয়। কনসার্ট বাতিলের ক্ষতিপূরণ না দিলে সেগুলো ভেঙে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জেম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ