সুস্মিতা সেন দু’হাত দু’দিকে মেলে দিয়ে ওপরে তাকালেন। ঠোঁটে টানা হাসি।
আর দর্শকসারি? উন্মাতাল এককথায়। স্টেজের এক সুস্মিতার মুখ হাজার হয়ে ছড়িয়ে গেছে মোবাইল ফোনে ফোনে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমকে ওই মুহুর্তে ধরেই নেয়া যায় জোনাকির অভয়ারণ্য। অসংখ্য মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে জ্বলছে, দুলছে। অসাধারণ ওই সময়কে আরও বহুদিন যত্নে পুষে রাখার কী অদম্য ইচ্ছা সবার!
এভাবেই মাতিয়ে-নাচিয়ে এক মিনিট পঞ্চাশ সেকেন্ডের মাথায় লাল রঙের প্রিন্সেস গাউনে ঢাকা সুস্মিতার দেহটি মিলিয়ে গেলো স্টেজের পেছনে। হলরুম জুড়ে হতাশা। এতো কম সময়! এভাবেই যদি এক ঝলক দেখা দিয়ে উধাও হবেন, তবে কেন সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা অবধি অপেক্ষার সুতো ধরে বসে থাকা! একটা কথাও কী বলবেন না! হলরুম জুড়ে এমন আক্ষেপই উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছিলো। তারপর ত্রিশ সেকেন্ডও পেরোয়নি। সুস্মিতা আবার মঞ্চে। এবার একা নয়, সঙ্গে হেয়ার ও মেকাপ আর্টিস্ট ড্যানিয়েল। ওইদিনের সুস্মিতার চুলের সাজ তারই করা।
পুরো হলরুম উন্মুখ, সুস্মিতা এবার কথা বলবেন। উপস্থাপিকার প্রশ্ন, ‘আমরা কথা বলবো কি বাংলায়, নাকি ইংরেজিতে?’ মাইক্রোফোনটা নিয়ে, বা-হাত নেড়ে, মাথা ঝাঁকিয়ে বলে দিলেন সুস্মিতা, ‘না, আমি বাঙালি, বাংলা বলতে পারি। কিন্তু...। ’ দর্শকের হর্ষধ্বনিতে কথা চাপা পড়ে যায়। তিনি বলে চলেন, ‘কিন্তু ঢাকার সঙ্গে আমি গভীরভাবে সম্পর্কিত। তিনবার এসেছি আমি ঢাকায়। তার আগে, আপনারা জানেন, একুশ বছর আগে...’ ১৩ সেপ্টেম্বরের রাতে ঢাকার মাটিতে দাঁড়িয়ে সুস্মিতা দর্শকদেরকে নিয়ে যেতে চান একুশ বছর আগের লস অ্যাঞ্জেলসে। ১৯৯৪ সালের ঘটনা বলতে চান, জানান ওই বছর বিশ্বসুন্দরী হয়ে লস অ্যাঞ্জেলসে গেলে কী করে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ভুলিয়ে দিয়েছিলেন ঘরছাড়ার কষ্ট!
এর আগে চার রকম সাজ নিয়ে মডেলরা মঞ্চে হেঁটেছেন। সাদিয়া ইসলাম মৌ, মিম ও মেহজাবিন এসেছিলেন শো স্টপার হয়ে। তারও আগে আয়োজনে ছিলো গান। ব্যান্ড নেমেসিস বেশ কয়েকটি গান করেছেন। গেয়েছেন এলিটাও। মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার আগে সুস্মিতা তাদের গানের বেশ প্রশংসা করলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
কেবিএন/