হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার গল্প কার না জানা! বাঁশির জাদুতে শহর থেকে সব ইঁদুর তাড়িয়ে দিয়েছিলো যে। কিন্তু প্রতিদানে অবহেলা পেয়ে একসময় বাঁশির জাদুতে শহরের মানুষ নিয়ে গায়েব হয়ে গেলেন যিনি।
গল্পের সেই বাঁশিওয়ালার চরিত্রে অভিনয় করলেন রাহুল আনন্দ। ইদানীং যাকে জলের গানের গায়েন হিসেবেই বেশি পাওয়া যায়। তবে তার শেকড় মঞ্চনাটকে। প্রাচ্যনাটের অন্যতম সদস্য তিনি। টুকটাক টিভি নাটকেও কাজ করেন তিনি। এরই অংশ ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’।
গল্পে দেখা যাবে- কবি নীলিমা চৌধুরী যান্ত্রিক শহরে প্রতিনিয়ত হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালাকে আহ্বান জানিয়ে কবিতা লেখেন। তার প্রত্যাশা- বাঁশিওয়ালা তার বাঁশির জাদুতে ইঁদুররূপী মন্দ মানুষদের তাড়িয়ে শহরকে বিশুদ্ধ করে তুলবে। একদিন তার আহ্বানে বাঁশিওয়ালা শহরে আসে। অপরাধ জগতের লোকজন আর দুর্নীতিবাজরা বাঁশিওয়ালার আগমনে শঙ্কিত হয়ে ওঠে। তারা বাঁশিওয়ালাকে তাড়িয়ে দিতে উঠেপড়ে লাগে। কিন্ত নীলিমার সহায়তা থাকায় বাঁশিওয়ালাকে দমানো যায় না। বাঁশিওয়ালা তার বাঁশির সুরে মানুষরূপী ইঁদুরগুলোকে শহর ছাড়া করে দেয়। বাঁশিওয়ালার হাতে গড়া বিশুদ্ধ শহরে তার সঙ্গেই ঘর বাঁধতে চায় নীলিমা।
রাহুলের সঙ্গে নীলিমা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিপুণ। এ ছাড়াও আছেন মিশু চৌধুরী, হেমন্ত, তাওকীর এবং অন্যান্য। নাটকটি লিখেছেন আহমেদ তাওকীর, পরিচালনায় সাজ্জাদ সুমন। চ্যানেল আইতে ঈদের ষষ্ঠ দিন রাত সাড়ে ৯টায় প্রচার হবে এটি।
বাংলাদেশ সময় : ০২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
জেএইচ