নব্বই দশকের গল্প। তখনও চিঠির যুগ।
‘এক মেয়ে’ই বলতে হচ্ছে। কারণ, ছবিতে তার চরিত্রের নামটি বলতে রাজি নন নওশাবা। কেনো? এ নামটিই গল্পের সবচেয়ে বড় মোড়। পরিচালনা ওয়াহিদ তারেকের। তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেন। ‘আলগা নোঙর’ দিয়ে ঢুকে পড়ছেন সিনেমাপাড়ায়। তবে তাতেও বেশ সংশয় ছিলো। চুপিচুপি দৃশ্যধারণ শেষ করেছেন। একেবারেই কাউকে না জানিয়ে। ওয়াহিদ তারেক বলছিলেন, ‘ভাবনায় ছিলো, আগে দেখি ছবিটা বানাতে পারি কি-না! যদি দেখি ছবিটা দাঁড়িয়েছে, তাহলেই বলবো। নইলে চেপে যাবো!’
আর নওশাবা? তার বিশ্বাসে কী ছিলো? মোবাইল ছেড়ে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছেড়ে, একেবারেই বিচ্ছিন্ন ছিলেন চট্টগ্রামে। বলছিলেন, ‘নব্বই দশকের গল্প যেহেতু। ওয়াহিদ তারেক আমাকে ওইরকম জীবনযাপনের মধ্যেই রেখেছিলেন। আমিও চেষ্টা করেছি, একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি রুমে পড়ে থাকার। চট্টগ্রামেই আমাদের ক্যাম্প ছিলো। ওখানেই কর্মশালা হয়েছে। ’
চরিত্রের নাম না হয় বলা বারণ। গল্পও? কিন্তু এটা তো বলাই যায় যে, ‘আলগা নোঙর’-এ কীভাবে দেখা যাবে নওশাবাকে? তিনি বললেন, ‘বন্দর এলাকার একটি মেয়ে। তার জীবনে বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকজন পুরুষ আসে। ওই মানুষগুলোরও ছোট ছোট গল্প আছে। আমার সঙ্গে এই প্রত্যেকটা লোকের বিভিন্নভাবে দেখা হয়। এই মেয়েটা ঠিকমতো খেতে পায় না। সম্পূর্ণ প্রান্তিক একটি মেয়ে। ’
সেজন্য নওশাবাকে যথেষ্ট প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তিন-চার মাস কোনো ধরণের প্রোটিনজাতীয় খাবার খাননি। পুরো ছবিতে একটুকরো মেকাপও নেই চেহারায়। ‘আলগা নোঙর’-এর দৃশ্যধারণ শেষ। সম্পাদনাও শেষের দিকে। ওয়াহিদ তারেকের ইচ্ছা ডিসেম্বরে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ