১৭ ও ১৮ অক্টোবর দুই রাত টানা শুটিং করেছিলেন রিয়াজ। গতকাল সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকালে হেলিকপ্টার যোগে গিয়েছিলেন বাগেরহাট, বন্ধুর নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে।
এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রিয়াজ মেকআপ শেষে অপেক্ষা করছিলেন সাজঘরে। অরুকে (মাহিয়া মাহি) নিয়ে মুহিব (রিয়াজ) পালিয়ে যাবে- এমন একটি দৃশ্যধারণের প্রস্তুতি চলছিলো। হঠাৎ অসুস্থবোধ করেন তিনি। পরিচালক মেহের আফরোজ শাওনের সহকারী জুয়েল রানাকে জনপ্রিয় এই অভিনেতা জানান, তার এসিডিটির সমস্যা আছে। এ কারণে কিছুটা ঘামছেন। এর একটু পরই তার বমি হয়। এ অবস্থায় শুটিংয়ে উপস্থিত চিত্রনায়ক ফেরদৌস, অভিনেতা আরফান, সাজু মুনতাসিরসহ অন্যরা তাকে উত্তরায় হৈচৈ বাড়ির পাশে ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যান।
রিয়াজ তখন সবাইকে বলছিলেন, খামাখাই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে! তার কিছুই হয়নি। হাসপাতালে তাৎক্ষণিকভাবে তার ইসিজি ও আনুসঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, আধঘন্টার মধ্যে তাকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিতে হবে। কারণ ততোক্ষণে রিয়াজের একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।
এরপরই রিয়াজকে দ্রুত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে আনা হয়। তখন ঘড়ির কাঁটা পেরিয়ে গেছে রাত ৮টার ঘর। এখানে ধরা পড়ে তার হৃদপিন্ডে চারটি ব্লক। রাতেই একটিতে রিং পরানো হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত রিয়াজ অস্ত্রোপচারের আগেও সুস্থ মানুষের মতো কথা বলছিলেন। এখন তিনি আশঙ্কামুক্ত।
এদিকে রিয়াজের স্ত্রী মাশফিকা খান তিনা অ্যাপোলো হাসপাতালে আসেন ঘন্টাখানেক পর। অস্ত্রোপচারের পর তার সঙ্গে কথা হয় চিকিৎসকদের। তার সূত্র ধরেই চিকিৎসক ড. প্রফেসর শাহাবুদ্দিন জানান, রিয়াজ বেশ কিছুদিন ধরে বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন। কিন্তু বিষয়টি তিনি আমলে নেননি। এমনকি স্ত্রীর জোরাজুরিতেও তিনি হাসপাতালমুখো হননি।
এদিকে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস থেকে নির্মাণাধীন ‘কৃষ্ণপক্ষ’র শুটিং এখন বন্ধ। এতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রূপদানকারী রিয়াজের ৪০ ভাগ শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর এটি মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে শুটিং শুরু করেছিলেন পরিচালক শাওন।
রিয়াজের অসুস্থতার খবরে ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী ও চলচ্চিত্রাঙ্গনে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যম ফেসবুকে তার সুস্থতা কামনা করেছেন সহকর্মী ও ভক্তরা।
** হাসপাতালে রিয়াজ
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
এসও/জেএইচ