পাঁচ দিনের বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব যতো শেষের পথে যাচ্ছে, ততো শীত বাড়ছে, বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে সেই সঙ্গে বাড়ছে লোকসমাগম। সোমবার (৩০ নভেম্বর) চতুর্থ দিনের আয়োজন শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টায়।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, ‘কাইয়ুম চৌধুরী ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সুহৃদ ও আপনজন। তার মৃত্যুতে এদেশের চিত্রকলা আন্দোলন এবং সংস্কৃতি ভুবনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়। ’ এরপর শিল্পীর স্মরণে আট মিনিট ব্যাপ্তির প্রামাণ্যচিত্র ‘নিসর্গের আঁকিয়ে’ প্রদর্শিত হয়।
চতুর্থ দিনের প্রথম পরিবেশনা ছিলো গুরু রাজা ও রাধা রেড্ডির কুচিপুডি নৃত্য। তারা গণপতি বন্দনা, শিবাতান্ডব, কৃষ্ণাকালিঙ্গা নর্তনাম এবং নটবর তরণী তরঙ্গম পরিবেশন করেন। রাজা ও রাধা রেড্ডির সহনৃত্যশিল্পী হিসেবে ছিলেন ভাবনা রেড্ডি, কৌশল্য ও ইয়ামিনি রেড্ডি। বাঁশিতে ছিলেন কিরণ কুমার, কর্ণাটকি কন্ঠসংগীতে লাবন্য সুন্দরম এবং মৃদঙ্গমে বান্না ভাস্কর রাও। পরিবেশনা শেষে শিল্পীদের হাতে উৎসব স্মারক তুলে দেন ইনাম আহমেদ চৌধুরী। এরপর সংগীতবেত্তা আলিমুর রহমান খান তার বক্তব্য রাখেন।
চতুর্থ দিনের আয়োজনে আরও থাকছে গণেশ ও কুমারেশ রাজাগোপালন (কর্ণাটক বেহালা), পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা (সন্তুর), পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার (সরোদ), ওস্তাদ জাকির হোসেন (একক তবলা) ও পণ্ডিত উল্লাস কশলকরের (খেয়াল) পরিবেশনা।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) পঞ্চম ও সমাপনী দিনের উৎসব শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। চলবে পরদিন ভোর ৫টা ১০ মিনিট পর্যন্ত। আগামীকাল উৎসবে অংশ নেবেন অনিমেষ বিজয় চৌধুরী ও তাঁর দল (ধামার), বিদুষী আলারমেল ভাল্লি (ভরতনাট্যম), ইরশাদ খান (সুরবাহার), সামিহান কশলকর (খেয়াল), ওস্তাদ সুজাত খান (সেতার), ওস্তাদ রশিদ খান (খেয়াল) এবং পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া (বাঁশি)।
বাংলাদেশ সময় : ২০৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৫
জেএইচ