এক বছর আগে গান-বাজনা পুরোপুরি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন লেডি গাগা। যদি কোনোদিন লেখালেখি বন্ধ করে দেন, এই ভাবনা ঝেঁকে বসার পরই নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা হয় মার্কিন এই পপতারকার।
২০১৪ সালের শেষের দিকে গাগার কাছে তার স্টাইলিস্ট হঠাৎ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘এখনও কি তুমি পপতারকা হতে চাও?’ এরপর তার দিকে হতবাক হয়ে তাকিয়েছিলেন ২৮ বছর বয়সী এই তারকা। উত্তরে তিনি বলেন, ‘চাইলে সংগীত চর্চা আজই ছেড়ে দিতে পারি। অবশ্য এটা সম্ভব নয়। কিন্তু এখন মুক্ত হওয়া দরকার। কারণ আমি মরতে যাচ্ছি। ’
গাগা আরও বলেন, ‘খুব দ্রুত এগোলে সুরক্ষিত থাকে না কেউ। তখন মনে হবে চারপাশে ঠোকাঠুকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে শুধু। এ কারণে সোজাসুজি কিছু চিন্তাও করা যায় না। কিন্তু পরে মনে হলো কেউ কেউ আমার হাত ধরেছে। যেন আকাশে একটি তারাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় একত্র হয়েছে সবাই। কোনোভাবেই ওই তারাকে ঝরে যেতে দিতে চায় না তারা। ’
গাগা জানতেন, পুরো সংগীত শিল্প তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও একজন ঠিকই পাশে দাঁড়াবেন। তিনি হলেন গায়ক টনি বেনেট। তিনিই গাগাকে তার সেরাটা দিতে উদ্বুদ্ধ করে সফল হয়েছেন।
বিলবোর্ড ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা নারী নির্বাচিত হয়েছেন লেডি গাগা। আগামী বছরের ২৮ মার্চ ৩০তম জন্মদিনের কেক কাটবেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫
জেএইচ