ইংগিত আগেই ছিল, তিনি মুক্তি পাবেন। সেটাই ঘটলো বৃহষ্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে।
আদালত আরও জানিয়েছেন, বিভিন্ন সাক্ষীর পাশাপাশি, পুলিশ যে তথ্য প্রমাণ আদালতে জমা দিয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট হয়নি যে, সালমান খানই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এই তারকার দেহরক্ষী হিসেবে যে পুলিশ কর্মী ছিলেন, সেই রবীন্দ্র পাতিলের বক্তব্যকেও ‘পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির হাইকোর্ট।
সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন মুম্বাইয়ের দায়রা আদালত। সে রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সালমান হাইকোর্টে যান। হাইকোর্ট দায়রা আদালতের রায়ের দিনই সাজা স্থগিত রেখে সালমানের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে দেহরক্ষী রবীন্দ্র পাতিল দুর্ঘটনার পর একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন। ওই এফআইআরে সালমান নেশাগ্রস্ত ছিলেন কিনা, তা উল্লেখ করেননি তিনি। ১ অক্টোবর সালমানের রক্ত পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া বয়ানে পাতিল জানান, সালমান মদ্যপান করেছিলেন এবং তিনি (পাতিল) এই অভিনেতাকে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু এদিন বিচারপতি তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, পাতিলের সাক্ষ্য সন্দেহজনক। কারণ, এফআইআর দায়েরের পরে বয়ান রেকর্ডের সময় সালমানের মদ্যপানের কথা বলেছিলেন পাতিল। তাই সাক্ষী হিসেবে পাতিল পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেই বিচারপতি মন্তব্য করেছেন।
ঘটনার রাতে বেন বার থেকে মুম্বাইয়ে নিজের ফ্ল্যাটের কাছে আমেরিকান এক্সপ্রেস বেকারির সামনের ফুটপাথে উঠে গিয়েছিল সালমান খানের গাড়ি। সেই গাড়ি চাপায় একজনের মৃত্যু হয়, জখম হয়েছিলেন আরও ৪ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
এসও