ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

রাজ্জাক ও রুনা লায়লাকে আমিন জুয়েলার্সের সম্মাননা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
রাজ্জাক ও রুনা লায়লাকে আমিন জুয়েলার্সের সম্মাননা রাজ্জাক ও রুনা লায়লা

দেশের ঐতিহ্যবাহী জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান আমিন জুয়েলার্স লিমিটেডের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্মাননা পাচ্ছেন অভিনেতা রাজ্জাক ও কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা। বর্ণাঢ্য আয়োজনে আরও ২৫ গুণীকে সম্মাণনা দিতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

আগামী ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে হবে জাঁকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠান।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য সম্মাননা পাচ্ছেন ২৭ গুণীজন। সম্মাননা হিসেবে প্রত্যেকে পাবেন নগদ তিন লাখ টাকা, দুই ভরি ওজনের স্বর্ণের মেডেল, সম্মাননা ক্রেস্ট এবং উত্তরীয়। ইভেন্ট পার্টনার ড্রিম মার্চেন্টের স্বত্ত্বাধিকারী ফারহানা লাকী জানান, প্রত্যেক গুণীজনের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্রও দেখানো হবে।

দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মাননা জানানোর এই আয়োজনে থাকছে বিনোদন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের তারকাদের পরিবেশনা। এখানে অতিথি হিসেবে থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, আমিন জুয়েলার্সের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের গেট খোলা হবে বিকেল ৪টায়। এক ঘণ্টা যন্ত্রীরা বিভিন্ন গানের সুর বাজাবেন। শেষ পর্বে একক সংগীত পরিবেশন করবেন রুনা লায়লা। তার আগে এম আর ওয়াসেকের কোরিওগ্রাফিতে দেশের গানের সঙ্গে নাচবেন অপি করিম। পাহাড়ি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করবেন পাবর্ত্য অঞ্চল থেকে আসা নৃত্যশিল্পীরা। গান গাইবেন ইমরান এবং পড়শী, সঙ্গে খালেদ মাহমুদের কোরিওগ্রাফিতে নৃত্যে থাকবেন এক্সট্রিম ড্যান্স গ্রুপের শিল্পীরা। ‘রূপনগরের রাজকন্যা’ গানের তালে নাচবেন শখ। সঙ্গে থাকবেন একঝাঁক নৃত্যশিল্পী। এ ছাড়া গান গাইবেন ফাতেমা তুজ জোহরা।

রাজ্জাক ও রুনার পাশাপাশি সম্মাননা পাওয়া অন্য গুণীজনরা হলেন- সুধীন দাশ (নজরুলসংগীত শিল্পী), হুমায়ূন আহমেদ (কথা সাহিত্যিক- মরণোত্তর), সৈয়দ শামসুল হক (কবি, নাট্যকার ও কথাসাহিত্যিক), হাসান আজিজুল হক (কথাসাহিত্যিক), মহাদেব সাহা (কবি ও সাংবাদিক), মুর্তজা বশীর (চিত্রশিল্পী), মুস্তাফা মনোয়ার (চিত্রশিল্পী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব), সুকুমার বড়ুয়া (ছড়াকার), আ ক ম যাকারিয়া (প্রত্নতত্ত্ববিদ), অধ্যাপক আনিসুজ্জামান (শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী), আশালতা বৈদ্য (মুক্তিযোদ্ধা), এএম হারুন অর রশিদ (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ), এ কে আজাদ খান (চিকিৎসক), কাঁকন বিবি (মুক্তিযোদ্ধা), জামিলুর রেজা চৌধুরী (পুরকৌশলী), তোফায়েল আহমেদ (রাজনীতিবিদ), তোয়াব খান (সাংবাদিক), দ্বিজেন শর্মা (প্রকৃতিবিদ), নূরজাহান বেগম (সাংবাদিক), প্রতিভা মুৎসুদ্দি (ভাষা সৈনিক), ফজলে হাসান আবেদ (সমাজকর্ম ও উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব), যতীন সরকার (চিন্তাবিদ ও লেখক), ব্যারিস্টার রফিক-উল হক (আইনজীবী), সাইদা খানম (ফটো সাংবাদিক), সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী)।

বছরখানেক আগে থেকেই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শুরু হয়। তিন সদস্যের জুরি বোর্ড গুণীজনদের মনোনয়ন দেন। জুরি বোর্ডের প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. শাসসুজ্জামান খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক, সাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময় : ১৫০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।