কিশোরী সাক্ষাৎকার দিতে পছন্দ করতেন না। তার মতে, এটা সময়ের অপচয়।
সংগীতজীবনে কিশোরী কিছু ব্যাপারে ‘নিজস্বতা’ ধরে রাখতেন। বেশি সংখ্যক শো করতে হবে এমনটা মনে করতেন না তিনি। উপযুক্ত মঞ্চ বা শ্রোতা পাওয়া যাবে না, এমন বিবেচনা করে দেশের বাইরের অধিকাংশ শো’র প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেন কিশোরী।
১৯৩২ সালে ১০ এপ্রিল পদ্মভূষণ ও পদ্মবিভূষণ পদকপ্রাপ্ত এই শিল্পীর জন্ম। তার মা মোগুবাই কুরদিকারও ছিলেন বিখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী। মায়ের হাতেই সংগীতের হাতেখড়ি কিশোরীর। তিনি তৈরি করেছিলেন শাস্ত্রীয় সংগীতে তার নিজস্ব ধারা।
কিংবদন্তি তবলা বাদক জাকির হোসেন কিশোরীকে মূল্যায়ন করেছেন এভাবে, ‘তার সংগীত (রাগ) চিত্রকলার মতো, জীবনের সবকিছু পরিপূর্ণভাবে বর্ণনা করে। তার সুরে পাওয়া যায় মহান সুখ-দুঃখ-হতাশা-ক্ষোভ প্রভৃতির নির্যাস। ’
কৃতী শিল্পী কিশোরী আমনকারের মৃত্যুতে বলিউডের সংগীত ও চলচ্চিত্রের তারকারা শোকবার্তা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম লতা মঙ্গেশকর।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ৩ এপ্রিল রাতে ভারতের মুম্বাইয়ে তার নিজ বাড়িতে মারা গেছেন এ শিল্পী। কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন কিশোরী।
* কিশোরী আমনকার-এর পরিবেশনা:
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৭
এসও