২০০২ সালে শাকেল নুরানী পরিচালিত ‘জান কি বাজি’তে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন সঞ্জয়। এজন্য ৫০ লাখ রুপিও নিয়েছিলেন তিনি।
এরপর নূরানি আদালতের দ্বারস্থ হলে মুম্বাই হাইকোর্ট সঞ্জয়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়। আর ঠিক সেসময় নুরানী থানায় অভিযোগ করেন, সঞ্জয়ের তরফে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালে এই মামলার সূত্রে সঞ্জয়কে আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু সঞ্জয় জাননি। তখনই তার নামে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু পরে সঞ্জয় আদালতে হাজিরা দেওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা মওকুফ করে নেওয়া হয়।
এরপর ১৯৯৩-তে মুম্বাইয়ের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের সঙ্গে সংযোগ এবং বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে সঞ্জয়কে জেলে যেতে হয়।
সঞ্জয় জেল থেকে বেরনোর পর তার বিরুদ্ধে পুনরায় পুরনো মামলা চালু হয়। সেই ভিত্তিতে দু’বার তাকে আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি এক বারও আদালতে উপস্থিত হননি। তখনই তার নামে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।
শাকিলের উকিল নীরজ গুপ্তা জানিয়েছেন, প্রযোজক চাইছেন, সঞ্জয় সই-বাবদ নেওয়া ৫০ লাখ রুপি ফেরত দিন। এছাড়া সঞ্জয়ের আচরণের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে অতিরিক্ত দু’কোটি রুপি দিন।
তবে শোনা যাচ্ছে, আদালতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছেন ৫৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
বিএসকে