১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ড খেতাবও জিতেছিলেন বলিউডের এই অভিনেত্রী। অভিনয় জীবনে রূপ ও মেধার সমন্বয় ঘটিয়েছেন তিনি।
‘রাজা হিন্দুস্তানি’
আমির খানের বিপরীতে ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ ছবির মাধ্যমেই বলিউড অভিষেক হতে যাচ্ছিলো ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের। পরিচালক ধর্মেশ দর্শন চেয়েছিলেন আমির খানের বিপরীতে ঐশ্বরিয়াই অভিনয় করুক। কিন্তু মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য ছবিটি হাতছাড়া করেছিলেন অ্যাশ। পরে সেই চরিত্রটিতে অভিনয় করেন কারিশমা কাপুর। ব্লকবাস্টার হয়েছিলো ছবিটি।
‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’
১৯৯৮ সালের ব্লকবাস্টার হিট এই ছবির জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন ঐশ্বরিয়া। কিন্তু হাতে অনেক ছবির কাজ থাকায় করণ জোহরকে সময় দিতে পারেননি তিনি। পরে এতে অভিনয় করে কাজল। আর তখন থেকেই আরও বেশি জনপ্রিয়তা পায় শাহরুখ খান-কাজল জুটি।
‘দোস্তানা’
প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার ‘দোস্তানা’ ছবির প্রস্তাব নিয়ে ঐশ্বরিয়ার কাছেই গিয়েছিলেন করণ জোহর। তবে ফের ফিরিয়ে দেন এই সুন্দরী। কারণ সেই একই। করণের জন্য সময় মেলাতে পারছিলেন না ব্যস্ত এই অভিনেত্রী। প্রথমে অভিষেক বচ্চন, সাইফ আলী খান ও ঐশ্বরিয়াকে ভাবা হয়েছিলো ছবির তিন কেন্দ্রীয় চরিত্রে। অবশ্য পরে অভিষেক থাকলেও সাইফ ও ঐশ্বরিয়াকে না পেয়ে জন আব্রাহাম ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে নিয়েই ছবিটি শেষ করেন করণ জোহর।
‘হিরোইন’
মধুর ভান্ডারকারের নারীপ্রধান ছবি ‘হিরোইন’-এর জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছিলো ঐশ্বরিয়াকে। কিন্তু সেই সময় সন্তানসম্ভাবা হয়ে পড়ায় ছবিটি থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এ নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার বেশ দ্বন্দ্বও হয়েছিলো। পরে ঐশ্বরিয়ার বদলে ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন কারিনা কাপুর খান।
‘চলতে চলতে’
এই ছবি হাতছাড়া হওয়ার পেছনে ঐশ্বরিয়ার কোনো দোষ নেই। এখানে গণ্ডগোল করেন ঐশ্বরিয়ার পাগল প্রেমিক সালমান খান। ছবির সেটে গিয়ে শাহরুখ খানের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন সল্লু। এ কারণে নির্বিঘ্নে ছবির কাজ শেষ করার জন্য ঐশ্বরিয়াকে বাদ দিয়ে রানি মুখার্জিকে নেওয়া হয়।
‘ভুল ভুলাইয়া’
এই ছবিতে মাঞ্জুলিকার চরিত্রে বিদ্যা বালানের ভয়ানক রূপ দেখে ভয় পেয়েছেন অনেকেই। আবার ‘মেরে ঢোলনা’ গানের সঙ্গে নেচে দর্শকদের হৃদয় হরণ করেছেন বিদ্যা। প্রথমে এই চরিত্রের জন্য ঐশ্বরিয়ার কাছে গিয়েছিলেন পরিচালক। কিন্তু ভূতের চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হননি অভিষেকপত্নি। সেই ভূতের চরিত্রেই বিদ্যা বালানের অভিনয় এখনো মনে রেখেছেন দর্শকরা।
‘বীর জারা’
বিশ্বাস করতে চাইবেন না অনেকে। কিন্তু যশ চোপড়ার পরিচালনায় কাজ করার সুযোগ পেয়েও করেননি ঐশ্বরিয়া। ছবিটিতে আইনজীবী সামিয়া সিদ্দিকীর ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য প্রথমে ঐশ্বরিয়াকে ভাবা হয়েছিলো। ঐশ্বরিয়া না করায় চরিত্রটি পান রানি মুখার্জি। ছবিটির সাফল্য দেখে নিশ্চয়ই ঐশ্বরিয়ার পরে আফসোস হয়েছিলো!
‘বাজিরাও মাস্তানি’
সঞ্জয়লীলা বানশালি পরিচালিত ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ছবিটিও ছেড়ে দিয়েছিলেন প্রাক্তন এই বিশ্ব সুন্দরী। ছবিতে মাস্তানি চরিত্রটির জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো ৪৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীকে। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় সেটি পরে চলে যায় দীপিকা পাড়ুকোনের ঝুলিতে।
‘কাভি খুশি কাভি গাম’
করণ তার প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘কাভি খুশি কাভি গাম’-এর জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়াকে। কিন্তু তার হাতে সময় খালি না থাকায় প্রস্তাবটি ফিরেয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অমিতাভ বচ্চন-জয়া বচ্চন দম্পতি, শাহরুখ খান, কাজল, হৃতিক রোশন ও কারিনা কাপুর খান অভিনীত ছবিটি ব্লকবাস্টার হয়েছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৭
বিএসকে/এসও