কিন্তু কর্ণাটকবাসী হয়তো জানতে পারবেন না এর উত্তর। কেননা ছবি মুক্তি নিয়ে সেখানে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
নয় বছর আগে অর্থাৎ ২০০৮ সালে কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুর মধ্যে অনেকদিন ধরে চলে আসা কাবেরি পানিবণ্টন জটিলতা নিয়ে তামিল নাড়ুর হয়ে মন্তব্য করেছিলেন সত্যরাজ। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘তামিলরা গাছের মতো নয় যে, কোনো কুকুর এসে তাদের ওপর প্রস্রাব করবে আর তারা চুপ থাকবে। ’
তবে, ‘বাহুবলী’র স্বার্থে নয় বছর আগের এই ‘ভুল’-এর জন্য ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণের এই অভিনেতা। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, “আমি বুঝতে পারছি কাবেরি পানিবণ্টন সমস্যা নিয়ে আমার বক্তব্য কর্ণাটকের মানুষের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। আমি কানারিগা বা কর্ণাটক কোনোটিরই বিরুদ্ধে নই। তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আমার সহকারী শেখর একজন কানারিগা। নয় বছর আগে আমার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছি। আমি ‘বাহুবলি’ ছবিতে একজন ক্ষুদ্র অভিনেতা, আমার জন্য ছবিটির ক্ষতি করা উচিৎ না। আমি তামিলিয়ানদের বিষয়টি বোঝার জন্য অনুরোধ করবো। ”
এ ছাড়া বহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে পরিচালক এসএস রাজামৌলি জানান, “সত্যরাজ যা বলেছেন তার সঙ্গে ছবি বা এর কলাকুশলীদের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি নয় বছর আগে মন্তব্যটি করেছিলেন। তারপর অনেক ছবি এমনকি ‘বাহুবলি: দ্য বিগিনিং’ মুক্তি পেয়েছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, তারা যেভাবে ‘বাহুবলি’র প্রথম পর্বে সহযোগিতা করেছেন ‘বাহুবলি-টু’র জন্যও করবেন। আমরা সত্যরাজকে এ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছি। তার মন্তব্য নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। ”
এদিকে, রাজামৌলির বিবৃতির পর কর্ণাটকের প্রবীণ সমাজকর্মী ও সাবেক এমএলএ বাতাল নাগারাজ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ছবি এবং এর কলাকুশলীদের নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমি বলছি, এটি খুব ভালো ছবি। আমরা শুধু চাই তিনি ক্ষমা চাইবেন। এই মানুষটি কানারিগাদের কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছেন, আমরা কীভাবে চুপ থাকবো?’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৭
বিএসকে/এসও