৫ মে সারাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে মোট তিনটি ছবি। একটি স্বপন আহমেদ পরিচালিত ও রেগে এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত ‘পরবাসিনী’ আরেকটি ইমপ্রেস টেলিফিল্মস প্রযোজিত মাহবুবা ইসলাম সুমী পরিচালিত ‘তুমি রবে নিরবে’।
স্বপন আহমেদের পরিচালনায় বাংলাদেশের প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিভিত্তিক গল্পে নির্মিত ‘পরবাসিনী’তে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ইমন, ভারতের রীথ মজুমদার, সব্যসাচী চক্রবর্তী, উর্বশী রাউতেলা, জুন মালিয়া, সোহেল খান, অপ্সরা আলী, চাষী আলম প্রমুখ। ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে দেশের ১৪টি প্রেক্ষাগৃহে। এগুলো হলো- বসুন্ধরা সিটির সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার, শ্যামলী, বলাকা, আনন্দ, মিনি গুলশান প্রভৃতি। ঢাকার বাইরে মুক্তি পাচ্ছে পূরবী (ময়মনসিংহ), কেয়া (টাঙ্গাইল), কল্লোল (মধুপুর), সংগীতা (খুলনা), লিবার্টি (খুলনা) ও বিজিবি (সিলেট)।
অন্যদিকে মাহবুবা ইসলাম সুমীর ‘তুমি রবে নিরবে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে টিভি অভিনেতী তানজিন তিশার। তিশা ছাড়া ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন অমৃতা, ইরফান সাজ্জাদ, ভারতের বাসর প্রমুখ। ছবিটি ঢাকার কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে।
অন্যদিকে ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য অনুমতি নিয়েছিলো টালিগঞ্জের সুপারস্টার প্রসেনজিৎ-এর ছবি ‘ওয়ান’। ওই দিনে ছবিটি দেশের দু’টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিও দিয়েছিলো পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান আরাধনা এন্টারপ্রাইজ। ছবিটিতে প্রসেনজিৎ ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন যশ দাশগুপ্ত, নুসরাত জাহান প্রমুখ।
এক সপ্তাহ বাদে ফের (৫ মে) সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশি দুই ছবির বিপরীতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে টলিউড সুপারস্টার প্রসেনজিতের ছবিটি। এর বদলে কলকাতায় গিয়েছে ‘যদি তুমি জানতে’ ছবিটি।
‘ওয়ান’-এর মুক্তিতে চলচ্চিত্র অঙ্গনে শোনা যাচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ঢালিউডের অনেকেই মনে করছেন ‘পরবাসিনী’কে কোণঠাসা করতেই এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও মুক্তি দেওয়া হচ্ছে ‘ওয়ান’। ঢাকায় ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে মধুমিতা, জোনাকি, চিত্রামহল, সুরভী, এশিয়া, শাহিন, সৈনিক ক্লাব, জিনজিরা, পুনম, রানীমহল, চাঁদমহলে। সবশেষ খবরে দেশের ৮০টি প্রেক্ষাগৃহ বুকড করা হয়েছে ‘ওয়ান’ মুক্তির জন্য।
এ নিয়ে ‘পরবাসিনী’ ছবির নির্মাতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলানিউজকে বললেন, ‘এ দেশের সিনেমাকে ধ্বংস করতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ‘ওয়ান’-এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলাম। কিন্তু ৪ মে পর্যন্ত আদালত বন্ধ থাকায় সেটা করতে পারিনি। তবে এভাবে চলতে থাকলে এ দেশের সংস্কৃতির অস্তিত্বই থাকবে না। তাই এর তীব্র নিন্দা জানাই। এটাকে ব্যক্তিগতভাবে একটি বিপর্যয় মনে করছি বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের জন্য। সেই সঙ্গে এ ধরনের বিপর্যয় মোকাবেলার জন্য এদেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
এসও