সোমবার (৮ মে) সকালে তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি আপিল বোর্ড কিংবা নির্বাচন কমিশন— দুই জায়গাতেই আমার পরিবারের সদস্যের মতোই ছোট-বড় ভাইয়েরা আছেন। আমি তাদের সামনে কিছু অসঙ্গতি তুলে ধরেছি।
৫ মে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ২০১৭’-এ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। সভাপতি পদের জন্য লড়েছিলেন ওমর সানীও। ফল ঘোষণার একদিন পরই নির্বাচন কমিশনের কাছে ফল বাতিলের জন্য আপিল করেছেন ওমর সানি। রোববার (৭ মে) লিখিতভাবে তিনি এই আবেদন করেছেন। সানীর আশঙ্কা, নির্বাচনের ফলাফল সুষ্ঠু হয়নি। ভোটগুলো আবার গণনা করার দাবি জানিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন বোর্ডের কাছে আপিল করেন তিনি।
ওমর সানী অভিযোগে লিখেছেন, ‘এবারের নির্বাচনে ভোট সংগ্রহ হয়েছে ৫৫৮টি। এর মধ্যে ৮৯টি ভোট বাতিল বলে নির্বাচন বোর্ড প্রকাশ করেছে। মোট ফলাফল অসঙ্গতিপূর্ণ কেননা সভাপতি তিনজনের ভোট যোগ করলে মোট ৪৬৯ টি ভোট হওয়া উচিৎ। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে পাওয়া যাচ্ছে মোট ভোট ৪৫৬টি। অন্যান্য পদে প্রাপ্ত ভোটের যোগফল কোনোভাবেই বৈধ ব্যালটের সাথে মিলে না, যেমন কার্যনির্বাহী মোট ভোট হওয়া উচিৎ ৫৬২১টি। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে পাওয়া যাচ্ছে মোট ভোট ৫৬৬৫। তাহলে অতিরিক্ত ৪৪টি বেশি ভোট কোথা থেকে এলো? এমনকি কোষাধ্যক্ষ পদে তিন প্রার্থীর মোট ভোট ৪৬৫টি, কিন্তু হওয়া উচিৎ ৪৬৯টি।
এ ছাড়া ওমর সানি শাকিব খানের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘সমিতির সভাপতি শাকিব খান পদাধিকার বলে ভোট গণনার সময় উপস্থিত থাকতে পারেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন গণনার সময় জোরপূর্বক তাকে অফিস থেকে বের করে দেয় যা কোনোভাবেই কাম্য ছিলো না। ’
অভিযোগে ওমর সানী আরও লিখেছেন, ‘একটি পক্ষ নিজ স্বার্থে নির্বাচন বোর্ডকে প্রভাবিত করেছে। এমতাবস্থায় এ রকম অসঙ্গতিপূর্ণ ফলাফলে সম্পূর্ণ কারচুপির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে এই ফলাফল বাতিল তথা নির্বাচন বাতিল করার আবেদন করছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৯ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
এসও