স্ত্রীর অধিকার নিয়ে এলেও সেই নারীই এক সময় হন মা। পৃথক সন্তান নিয়ে এই দুই নারীর মধ্যেও গড়ে ওঠে মধুর সম্পর্ক।
যুগে যুগে মায়েদের শাসনের ধরন একই থাকে, পাল্টায় না। আমার বেড়ে ওঠার সময় আর আমার সন্তানদের বেড়ে ওঠার সময়ের মধ্যে বিস্তর তফাৎ। তবুও দুই সময়ের মধ্যে পরিবর্তনের চেয়ে মিলগুলোই চোখে পড়ে বেশি। ছোটবেলায় যখন খেতে চাইতাম না, মা (মাসুদা আক্তার) ভূতের গল্প বলে বলে মুখে খাবার তুলে দিতেন। আমার দুই সন্তান (সামিন ও শায়ান) খেতে না চাইলে ওদের মা (আয়শা ইসলাম) কিন্তু ভূতের গল্প বলে না। এখন ওদের মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, গেমস এসব চাই।
আমি কিছু বিষয় বেশ উপভোগ করি বাবা হিসেবে। আমার ছেলেদের যখন ওদের মা বকাবকি করে, পড়তে বসতে বলে, আমার বেশ মজা লাগে। কারণ একইরকমভাবে আমিও মায়ের বকুনি খেয়েছি, ভাবি যে, এখন ‘তোমাদের পালা, বোঝো…’।
ছোটবেলায় জ্বর হলে মা সবচেয়ে বেশি অস্থির হতেন। জ্বর কমানোর প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে কপালে জলপট্টি দিতেন। এখন হাতের কাছেই চিকিৎসক, ওষুধ। তবু আমার সন্তানরা অসুস্থ হলে আমার চেয়ে আমার স্ত্রী বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, কপালে জলপট্টি দেয়। পৃথিবী এগিয়ে গেলেও মায়েদের কিছু সংস্কার একইরকম রয়ে যায়। এর বদল হবেনা কোনোদিন। আমার মা আর আমার সন্তানের মায়ের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক আমাকে মুগ্ধ করে। আমি তাদের এরকমই হাসিখুশি দেখতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৭
এসও