১৯৬৭ সালের ১৫ মে একটি মহারাষ্ট্রিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মাধুরী। ১৯৮৪ সালে ‘অবোধ’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় পা রাখেন।
এরপর ১৯৮৫ সালে তার অভিনীত ‘আওয়ারা বাপ’ এবং ১৯৮৬ সালে ‘সোয়াতি’ ও ‘মানব হত্যা’ ছবি দু’টিও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এখানেই শেষ নয়, ১৯৮৭ সালের ‘মোহরে’, ‘হিফাজত’ ‘উত্তর দক্ষিণ’ এবং ১৯৮৮ সালের ‘দয়াবান’ ও ‘খাতড়ো কা খিলাড়ি’ ছবিগুলোর একই ফ্লপ হয়ে যায়।
কিন্তু এতো হারও দমাতে পারেনি ‘কয়লা’খ্যাত এই অভিনেত্রীকে। ১৯৮৮ সালে মাধুরীর ‘তেজাব’ ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে সফলতা অর্জন করে। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন বলিউড অভিনেতা অনিল কাপুর। ছবিটিতে অভিনয়ের সুবাদে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ঘরে তোলেন মাধুরী।
এরপর মাধুরী একে একে ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’, ‘রাম লক্ষ্ণণ’, ‘ত্রিদেব’, ‘পারিন্দা’, ‘দিল’, ‘সয়লাব’, ‘সাজান’, ‘বেটা’, ‘খলনায়ক’, ‘আনজাম’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’-এর মতো জনপ্রিয় ছবি উপহার দেন ভক্তদের।
চমকপ্রদ তথ্য হলো- ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিটি সারা বিশ্বে ১.৩৫ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করে। যা পেছনে ফেলে দিয়েছিলো বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্রর ‘শোলে’কে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয়ের ছবিটি ছিলো ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’। এ জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে তৃতীয়বার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারও ঘরে তুলেছিলেন মাধুরী।
শধু অভিনয় নয়, নাচেও দক্ষ ৫০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী। মাত্র তিন বছর বয়স থেকে ‘কত্থক’ নাচের প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেছিলেন মাধুরী। ‘দিল’খ্যাত এই তারকা এমন একজন অভিনেত্রী, যার নাচের বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় নৃত্যপরচালক সারোজ খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
বিএসকে/এসও