বুধবার (২৪ মে) পরপর ২৪টি টুইট করে এ ঘোষণা দেন সোনু। কী কারণে টুইটার ছাড়ছেন সেই বিবরণও দিয়েছেন তিনি।
এর আগে, টুইটারে একাধিকবার মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন অভিজিৎ। তাই তার অ্যাকাউন্টটিই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টুইটার।
সম্প্রতি লেখিকা অরুন্ধতী রায় কাশ্মীরে সেনা আগ্রাসন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এ নিয়েই ঝামেলা শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা তথা বিজেপি সাংসদ পরেশ রাওয়াল টুইটবার্তায় বলেন, ‘সেনা জওয়ানদের ওপর আক্রমণকারীদের বদলে অরুন্ধতী রায়কে আর্মি জিপের সামনে বেঁধে ঘোরানো উচিত। ’ পরেশের এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হলে টুইটারের কর্তৃপক্ষ থেকে বার্তাটি মুছে ফেলতে বলা হয়।
এদিকে, ছাত্রী ও সমাজকর্মী শীলা রশিদকে লক্ষ্য করে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে টুইটার থেকে সাসপেন্ড করা হয় গায়ক অভিজিৎকে। টুইটারের এই ভূমিকাতে আপত্তি জানিয়েছেন সোনু। পরেশ রাওয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তায় সোনু লিখেছেন, ‘কাশ্মীর নিয়ে অরুন্ধতী রায় মন্তব্য করেছেন ঠিক আছে। কিন্তু সেই মন্তব্যের কারণে তো কোটি কোটি ভারতবাসী কষ্ট পাচ্ছে। ’
অভিজিতের টুইটবার্তা নিয়ে সোনুর পর্যবেক্ষণ, অভিজিতের বক্তব্য সমর্থনযোগ্য নাও হতে পারে। কিন্তু, শীলা রশিদ যখন বলেন, বিজেপি মধুচক্র চালায়, তার প্রভাব সমর্থকদের মধ্যে পড়ে। তাহলে অভিজিতের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হলে, একই যুক্তিতে শীলার করা হবে না কেনো! নিজের এই পদক্ষেপের ব্যাপারে সোনু নিগাম জানিয়েছেন, ‘টুইটারে নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেন হারিয়ে যাচ্ছে। কিছু বললেই, তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধছে। তাই টুইটার ছেড়ে দিলাম। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
বিএসকে/এসও