আবার শুরু হতে যাচ্ছে ‘দাদাগিরি’। এবার সম্প্রচারের দিনক্ষণ নিয়ে নতুন করে ভেবেছে চ্যানেল জি বাংলা।
সম্প্রতি কলকাতায় অনুষ্ঠিত হওয়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এই শো-এর পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় ও সৌরভ গাঙ্গুলি। এখানেই অনুষ্ঠানটি নিয়ে কথা বলেছেন সৌরভ।
সৌরভের বুদ্ধিদীপ্ত সঞ্চালনা নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে। প্রতিযোগিদের সঙ্গে নিজস্ব দক্ষতায় মিশে যাওয়া, পরিমিত কৌতুক ও খুনসুটির মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটিকে ভিন্নমাত্রা দিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘ ৬টি সিজন-এর সাফল্যই আবার ফিরিয়ে আনলো এই 'রিয়ালিটি শো'কে। এ প্রসঙ্গে সৌরভ বললেন, “একবার এয়ারপোর্টে এক ভদ্রলোক এসে আমাকে বললেন, চিনতে পারছেন? আমি ২০১০-এর উইনার ছিলাম। এই ধরনের অভিজ্ঞতাই আমাকে `দাদাগিরি' করতে উৎসাহ জোগায়। ”
“প্রতিবার যখন ‘দাদাগিরি’র সেটে ঢুকি, এক অন্যরকম এক্সাইটমেন্ট অনুভব করি। যে উত্তেজনাটা খেলার মাঠে পেতাম,” জানালেন ‘দাদাগিরি’র প্রাণভোমরা।
আগের সিজনগুলোতে বিভিন্ন জেলার প্রান্তিক মানুষদের পাশে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছে ‘দাদাগিরি’। দুঃস্থ, অভাবি, পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে চলার সঙ্গী হয়েছে সৌরভের টিম। সমস্যার সুরাহা করতে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিটি এপিসোডের বিজেতারা। এবারও তেমনটি ঘটতে যাচ্ছে।
দাদার কাছ থেকে জানা গেলো, প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে এক ভদ্রলোক একটি পোশাকের ব্যাংক তৈরি করেছেন, নাম ‘বিরসা মুণ্ডা ব্যাঙ্ক’। তিনি অভাবি মানুষদের পোশাকের অভাব মেটান ওই ব্যাংকের মাধ্যমে।
পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বললেন, “দাদাগিরি’ শিখিয়েছে, নিজের জন্য নয়, অন্যের জন্য ভাবতে, কিছু করতে। আরও বেশি সামাজিক হতে শিখিয়েছে। তাই গতবারের মতো এবারেও থাকছে ‘শপথ’ নেওয়ার পর্ব। যে শপথ বিজেতা নিলেও, প্রকারান্তরে তা নেবো আমরা সবাই। তবেই তো এগোবে সমাজ। ”
‘দাদাগিরি’ আদতে একটি গেম শো। যে শো দেখলে শেখা যায়, জানা যায়, নিজেকে সমৃদ্ধ করা যায়। এই খেলার সেরা হাতিয়ার বুদ্ধি আর কৌশল। এবার এই খেলার সঙ্গে যুক্ত হবে হৃদয় আর আবেগ। কেননা মনই তো মনের কথা বুঝবে। আর মনের উদারতার জন্য দেখতে হবে ‘দাদাগিরি’।
নিজে কিছু করে দেখাবার জেদ যেমন থাকবে, তেমনই অন্যের জন্য কিছু করার তাগিদও থাকবে। আর সেই সঙ্গে একাত্ম হওয়া যাবে অনেক না জানা মানুষের অচেনা বেদনা, দুঃখের সঙ্গে। কতো রকম ভালো-মন্দ অভিজ্ঞতা! যেমনভাবে সৌরভ বললেন,
“দাদাগিরি আমার কাছে ইমোশনাল কানেকশন। কতো রকম মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়! তারা তাদের দুঃখ, বেদনা, ইমোশনকে আমার সঙ্গে শেয়ার করেন। এ এক অন্য পাওয়া, অন্যরকম অভিজ্ঞতা। যে কারণে এই শো-এ ফিরে ফিরে আসা। "
আর দাদাকে তো ফিরে ফিরে আসতেই হবে। বাইশ গজের উত্তেজনা ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে নিয়ে আসার কারিগর তো তিনিই। তাই সৌরভ আর তার ‘দাদাগিরি’ আজ সমার্থক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, ২৬ মে , ২০১৭
ভিএস/এসও