চলচ্চিত্র সমালোচক দেবোরাহ ইয়াং ছবিটি সম্পর্কে ওই পত্রিকায় লিখেছেন, ‘…প্রচলিত সংস্কৃতির বাইরে এসে একজন স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা তার বহুদিনের বিবাহিত স্ত্রী ও কিশোর বয়সের সন্তানদের ছেড়ে নিজের মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করার কাহিনি এটি। কোনও হত্যার কাহিনি নয় এটি।
পর্যালোচনায় আরও লেখা হয়েছে, ‘…লাইফ অব পাই, জুরাসিক ওয়ার্ল্ড এবং ইনফারনোখ্যাত ইরফান খানের জন্য চলচ্চিত্রটি ভারতের বাজার মাতাবে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ডে ছবিটি এই ফেব্রুয়ারি মাসে অনুমোদনের জন্য আটকে যায় এবং অনুমতি ছাড়া অন্যের পরিবারকে নিয়ে ছবিটির কাহিনি তৈরির জন্য কিছু সময়ের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এ অভিযোগ উঠিয়ে নেওয়া হলেও একজন পুরুষের বিচ্ছেদ এবং নিজের থেকে অনেক কম বয়সী নারীকে বিয়ে করার কাহিনির জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষ রয়েছে দোলাচলে। এটা খুবই জটিল প্রক্রিয়া, যদিও ছবিটিতে কামোদ্দীপক ও আবেদনময় দৃশ্য নেই বললেই চলে। ’
সমালোচকের মতে, ‘…ছবিতে জাভেদ হাসানের একটি গোপন উদ্দেশ্য আছে। চারদিকে গুজব ছড়াচ্ছে যে সে তার ছবির মূল অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছেন। কিন্তু তার স্কুলশিক্ষক স্ত্রী মায়ার কাছে সত্য জানানোর মতো সাহস ছিলো না। সে মায়াকে গাড়িতে করে লংড্রাইভে যায়। ধীরে ধীরে সত্যটা জানায়। মায়া যখন জাভেদকে দেখছিলো তার কাছে মনে হচ্ছিলো জাভেদ উন্মাদ। জাভেদ জানায়, তাদের বৈবাহিক জীবন একঘেঁয়ে হয়ে উঠছে। অতীত জীবন তাদের ভিন্ন ছিলো। মায়া হতবাক হয়ে যায়। জাভেদের সন্তানেরা যখন সব জানতে পারে তারা কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এটি খারাপ…। ’
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে ‘ডুব’। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন ইরফান খান, নুসরাত ইমরোজ তিশা প্রমুখ। অভিনয়ের পাশাপাশি ‘ডুব’-এর সহ-প্রযোজক ইরফান। এই রিভিউয়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো ছবিটির কাহিনি সম্পর্কে আঁচ করতে পারছেন দেশীয় দর্শক।
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ুন আহমেদের জীবনের কিছু ঘটনাকে ‘অতিরঞ্জিত’ করে ‘অনুমতি ছাড়াই’ ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। এ নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায় শোবিজ অঙ্গনে। এখনও মুক্তি জটিলতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি ছবিটি। এরই মধ্যে সাংহাই ও মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয়েছে ‘ডুব’।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৭
এসও