এদিন দুপুরে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেন মিশা সওদাগর।
বাংলানিউজ: জন্মদিন কেমন কাটছে?
মিশা: খুব সাধারণ।
বাংলানিউজ: ছোটবেলার জন্মদিন কিভাবে উদযাপন করতেন?
মিশা: প্রতি জন্মদিনে বাবা-মা বাসায় হুজুর ডেকে মিলাদ পড়াতেন। আত্মীয়-স্বজনরা বাসায় আসতেন। আমার মঙ্গল কামনা করে দোয়া করতেন। কখনও কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করিনি। বাবা-মা এখন নেই। তবে প্রতিবারের মতো আজ তাদের কবর জেয়ারত করতে যাবো। তাদের জন্য আমি আল্লাহর কাছে দোয়া চাইবো।
বাংলানিউজ: প্রায় ৮০০ চলচ্চিত্রের অভিনেতা আপনি। বিষয়টি কিভাবে দেখেন?
মিশা: আমি কখনও সংখ্যা হিসাব করি না। দর্শকের ভালোবাসা ও সমর্থনে নিয়ে কাজ করে যাই। আমি নিজেও অবাক হয়ে যাই এতো ছবিতে কিভাবে অভিনয় করে ফেললাম। দর্শক না চাইলে এতো ছবিতে কাজ করতে পারতাম না। সবাই আল্লাহর রহমত, বাবা-মার দোয়া ও দর্শকের ভালোবাসার কারণে সম্ভব হয়েছে।
বাংলানিউজ: দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আপনার কী কোনো অপ্রাপ্তি আছে?
মিশা: অনেককিছু আছে। এতদিন ধরে চলচ্চিত্র কাজ করছি কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে এখনও সঠিক মূল্যায়ন পাইনি। শুধু আমি না। আমাদের যারা সিনিয়র ছিলেন বা যারা আছেন, অথবা যারা এখন কাজ করছেন। আমার মতে, কেউ সঠিক মূল্যায়ন পায়নি, পাচ্ছে না। আমরা বড় ধরনের কোনো সুযোগ-সুবিধাও পাই না-এটাই অপ্রাপ্তি।
বাংলানিউজ: কত বছর বাঁচতে চান?
মিশা: অনেকদিন বাঁচতে চাই। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে সুস্থ শরীরে বহুদিন পৃথিবীর বুকে নিজেকে মেলে ধরতে চাই।
বাংলানিউজ: আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে আপনাকে সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট দিয়েছেন কে?
মিশা: আমার স্ত্রী, জুবাইদা রব্বানী মিতা। আমার জীবনে তার অনেক অবদান। তার সাপোর্টের কারণে আমি আজকের মিশা সওদাগর।
বাংলানিউজ: বলেছেন অভিনয় ছেড়ে দেবেন? আসলেই কী তাই?
মিশা: এখনও বলছি ছেড়ে দেবো। বর্তমানে যে কাজগুলো করছি তা আগের চুক্তিবদ্ধ হওয়া। মানহীন কাজ করতে চাই না। যদি নতুন কোনো ছবির গল্প খুব বেশি ভালো লাগে তাহলেই শুধু করবো।
বাংলানিউজ: জন্মদিনে আপনার দর্শক ও ভক্তদের উদ্দেশ্যে কী বলেন?
মিশা: সবার কাছে দোয়া চাইবো। সবাই আমাকে বেশি বেশি দোয়া করবেন। সবসময় যেভাবে ভালোবেসে এসেছেন, আগামী দিনগুলোতেও তাদের তেমন ভালোবাসা পেতে চাই।
১৯৬৬ সালের ৪ জানুয়ারি একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে মিশা সওদাগর জন্ম গ্রহণ করেন। মিশা দুই পুত্র সন্তানের জনক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৮
জেআইএম/এমএ