ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

দর্শক সচেতনতাই সিনেমার মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
দর্শক সচেতনতাই সিনেমার মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ অনুষ্ঠানে তৌকির আহমেদ-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: শুধু সস্তা বিনোদনের মাধ্যমে দর্শকের মনোরঞ্জন করা সিনেমার উদ্দেশ্য হতে পারে না। বিনোদনের পাশাপাশি মানুষদের সচেতন করে তোলাই সিনেমার মুখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ বলে জানান চলচ্চিত্র নির্মাতা তৌকির আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ষোড়শ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রাঙ্গণ জাতীয় গণগ্রন্থাগারের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
 
এক প্রশ্নের জবাবে তৌকির আহমেদ বলেন, আমি আমার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সব সময় গণমানুষের কথা বলার চেষ্টা করি, তাদের সচেতন করার জন্যই সিনেমা বানাই।

এরকম ছবিই বানাতে চাই যা সমাজ জীবনে ও রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে।

তিনি তার নির্মিত ‘হালদা’ ছবি নিয়ে বলেন, হালদা সিনেমা হলে বেশ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে সিনেমা হলের দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে উৎসবে প্রদর্শন হওয়ার পর দর্শকের প্রতিক্রিয়া ভিন্ন। আমি দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করি।

মঞ্চে এবং টেলিভিশনে কাজ করা তারকারাই বেশি স্থান পান তৌকিরের চলচ্চিত্রে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে যারা মঞ্চে ও টেলিভিশনে কাজ করেন তাদের মধ্যে অনেক ভালো মানের শিল্পী রয়েছেন। আমি তাদের ভালমতো ব্যবহার করতে চাই। এছাড়া আমাদের বাজেটের কথাও মাথায় রাখতে হয়।

অনুষ্ঠানে বিদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতারা-ছবি-বাংলানিউজউৎসবে ওপার বাংলার নির্মাতা অপরাজিতা ঘোষ তার নির্মিত ‘ড্যান্স অব জয়’ চলচ্চিত্র, বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিকতা ও চলমান উৎসবের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন।  

এদেশের মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া আতিথেয়তায় নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ফিল্ম ফেস্টিভালের চমৎকার অভিজ্ঞতার পাশাপাশি আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো বাংলাদেশের মানুষের বুক ভরা ভালোবাসা। আমি যতবারই বাংলাদেশে এসেছি ততবারই ফিরে যাওয়ার সময় আমার ব্যাগের সংখ্যাও দ্বিগুণ হয়ে যায়! উৎসবে নিজেকে অতিথি হিসেবে নয়, বরং এ আয়োজন নিজেরই বলে মনে হয় আমার।

এসময় তরুণ ইরানী নির্মাতা মাসুমী নূর মোহাম্মদী এদেশের মানুষকে ‘হৃদয়বান’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এখানকার মানুষের ভালবাসা, পরিবেশ ও উৎসব দেখে আমার মনে হচ্ছে আমি যেন তেহরানেই আছি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মানুষের জীবনব্যবস্থা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইরানী নির্মাতা সাঈদ নাজাতী, শেরভিন দিদান্তে ও মাসীহ মির হোসেনী।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
এইচএমএস/আরআর

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।