শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
রাজধানীর কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে উদ্বোধনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর বারবার উইকহ্যাম।
অর্থমন্ত্রী বলেন, শিশু জীবন বড় আনন্দের, এই জীবন উৎসবের। এই উৎসবের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত শিশুদের উপভোগ করতে দিতে হবে। শিশুরা চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে, এ তো তাদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ। চলচ্চিত্রে তারা বলুক আনন্দময় জীবনের কথা।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, চলচ্চিত্র বিকাশের পথে এখনও অনেক বাধা রয়ে গেছে। চলচ্চিত্রে এখন থোক বরাদ্দ প্রয়োজন।
মুস্তাফা মনোয়ার বলেন, আজকের শিশুরা তাদের কল্পনাশক্তির বিকাশ ঘটাচ্ছে। যে শিশুরা এটা করতে পারে, তারা কখনও কোনো অন্যায় করতে পারে না।
উৎসব পরিচালক মোহাম্মদ আবীর ফেরদৌস জানান, ঢাকার মূল উৎসব কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনটি। উদ্বোধনী দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় মোট ৪টি প্রদর্শনী হবে।
এবারের উৎসবে ঢাকায় মোট ৬টি ভেন্যুতে ৫৮টি দেশের দুই শতাধিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উৎসবের সবগুলো প্রদর্শনী অভিভাবক, শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত।
‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ প্রতিপাদ্যে শুরু হওয়া এই চলচ্চিত্র উৎসব চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সাত দিনব্যাপী এই উৎসবে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের অংশগ্রহণে রয়েছে বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার। সরকারের বিশেষ অনুদান ছাড়াও এ উৎসবে পৃষ্ঠপোষকতা করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প ও ব্রিটিশি কাউন্সিল।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৮
এইচএমএস/আরআর