২০১৩ সাল থেকে রাজশাহীতে এ আন্দোলকে আরও বেগবান ও শক্তিশালী করতে যুক্ত হয় একদল তরুণ। আন্দোলনরত এ তরুণদের একজন সহযোদ্ধা উদীয়মান তরুণ স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহারিয়ার চয়ন।
তিনি উত্তরবঙ্গ তথা রাজশাহীর চলচ্চিত্র শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে চলেছেন। ‘সহানুভূতি’, ‘ফানুস’, ‘গন্তব্যহীন’, ‘বোধ’সহ বেশকিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের পর এবার তিনি নির্মাণ করলেন শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘বুট পালিশ’।
১০ বছরের শিশু আরিফ। সে মহানগরীর বিভিন্ন রাস্তায় ঘুড়ে ঘুড়ে মানুষের বুট পালিশ করে বেড়ায়। প্রতিদিনের মতো সে তার কাজ করতে গিয়ে একদিন রাস্তায় একটা ছোট শিশুকে কুড়িয়ে পায়। এরপর সেই শিশুটিকে সে নিজের কাছে আগলে রাখে। শিশুটিকে নিয়ে নগরীর অলিতে-গলিতে ঘুড়ে বেড়ায়। একসময় শিশুটিকে নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠে। এতে আরিফ শিশুটিকে নিয়ে দ্বিধায় পড়ে। অন্য দিকে জিহাদ শিশুটিকে দেখে আরিফের সঙ্গে কথা বলে। একপর্যায়ে অনেক ভেবে আরিফের বিষয়টি নিয়ে জিহাদ তার পরিবারে সঙ্গে আলাপ করে। কিন্তু জিহাদ তাতে পরিবারের সম্মতি পায় না। এভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে ‘বুট পালিশ’ চলচ্চিত্রটির গল্প।
‘বুট পালিশ’ চলচ্চিত্রটির গল্প লিখেছেন নাহিদা সুলতানা শুচি। ড্রিম মেকিং প্রডাকশনের ব্যানারে নির্মিত এ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- অভিনেত্রী সাবেরা ইয়াসমিন, জিহাদ খান, রফিক, চৌতি এবং শিশুশিল্পী আরিফ ও রোদ। রাজশাহীর বিভিন্ন মনোরম স্থানে চলচ্চিত্রটির চিত্রায়ন করা হয়েছে।
চলচ্চিত্রটির নির্মাতা শাহারিয়ার চয়ন চলচ্চিত্রটির সম্পর্কে বাংলানিউজকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধাচের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি। হঠাৎই এবার ইচ্ছে হলো শিশুদের নিয়ে একটা ব্যাতিক্রম ধর্মী কিছু করতে। সেই ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে এ শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘বুট পালিশ’ নির্মাণ করেছি’।
আগামীতে নারী ও শিশু কেন্দ্রিক কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণ করারও পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তরুণ নির্মাতা শাহরিয়ার চয়ন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
এসএস/জিপি