সোমবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টায় ১১টি গানের আবেশে আবেগ ও ভালোবাসা ছড়িয়ে বিদায় জানালেন ময়মনসিংহ। বলে গেলেন, ‘বেঁচে থাকলে আবারও দেখা হবে, যদি থাকি একপথে।
নতুন দিনের কনসার্টে নগর বাউল শুরুতেই ‘কবিতা তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিও না’ গান দিয়ে বিরহ এক আবহ তৈরি করেন। বাবরি চুলের এ কণ্ঠের জাদুকরের সঙ্গে একই ছন্দে মাথা দুলিয়েছে সংস্কৃতির নগরী রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামের হাজারো দর্শক। হাজারও দর্শকের হৃদয় স্পর্শ করতেই মন-প্রাণ উজাড় করে গেয়েছেন তিনি।
চারদিন আগের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কনসার্টে নগর বাউলের আমেজে এ স্টেডিয়ামের মঞ্চের সামনের ব্যারিকেড দেওয়া বাঁশ ভেঙেছিল উন্মাতাল তারুণ্য। ওইবার তারা মঞ্চের কাছাকাছি চলে আসলেও এদিনটায় সেদিকে কড়া নজরদারি ছিল পুলিশের।
আর এ কারণেই জেমসের গানের মাঝামাঝি সময়ে এবার কয়েক দফা পুলিশের সঙ্গে সামান্ন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে বাঁধভাঙা তারুণ্যের। মঞ্চে থেকে স্বভাবতই বিষয়টি দৃষ্টি এড়ায়নি জেমসেরও। আর এ কারণেই হয়তো গানের ফাঁকেই জানতে চেয়েছেন ‘পেছনের দিকটা কী ঠিক আছে?’
তরুণ-যুবারা নগর বাউলের কণ্ঠে একই সুরে ‘ঠিক আছে’ জবাব দিলেও বার বার পুলিশের শরীরে বোতলে ভরা পানি ছুঁড়ে মেরে দৌঁড়ে পালিয়েছে কিছু বখাটে। তবে পুলিশও ধৈর্য্য ও সহনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন।
নগর বাউলের আগে একই মঞ্চে গান পরিবেশন করেন আরেক জনপ্রিয় ব্যান্ড লালন। এ ব্যান্ডের প্রধান ভোকালিস্ট গেয়েছেন ‘নদী পাহাড় সাগরে, সময় গেলে সাধন হবে না, ক্ষ্যাপারে, মনের মানুষ আছে লুকিয়ে, পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না। ’
মঞ্চ ছাড়ার আগে লালন ব্যান্ডের ভোকালিস্ট বলেন, ‘আমরা গান করি, তোমরা (শ্রোতা) শুনো বলে। চট্টগ্রাম, রংপুর ও ময়মনসিংহের মানুষ গান পাগল। একটি ইভেন্ট সফল করতে মূলত দরকার গান পাগল শ্রোতা। এক্ষেত্রে ময়মনসিংহকে স্যালুট করা যায়। ’
নগর বাউল ও লালন ছাড়াও শিরোনামহীন, শুভ রকস, ভাইকিংস ও শূণ্য তাদের জনপ্রিয় সব গান পরিবেশন করেন।
বাংলাদেশ সময় ০৯৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
এমএএএম/এএটি/জিপি