‘মাটি’ নামের চলচ্চিত্রটির ট্রেলার সোমবার (৩০ এপ্রিল) প্রদর্শিত হয়েছে কলকাতার নন্দনে-৩ প্রেক্ষাগৃহে। এতে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) মোফাকখারুল ইকবাল।
চলচ্চিত্রের কলাকুশলীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, অভিনেতা আদিল হোসেন ও অভিনেত্রী পাওলি দাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অপর পরিচালক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য, মোনামি ঘোষ প্রমুখ।
‘ম্যাজিক মোমেন্টস মোসান পিকচারচস প্রাইভেট লিমিটেড’ প্রযোজিত চলচ্চিত্রটিতে মূলত দেখানো হয়েছে বাংলা ভাগ, শরণার্থীদের জীবন, শিকড়ের সন্ধানে ছিন্নমূল পরিবারের গল্প। যারা বাংলা ভাগের সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে আর পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারেনি। ছবিটির বেশিরভাগ শুটিং হয়েছে বাংলাদেশে।
ছবির পরিচালক লীনা গঙ্গোপাধ্যায় প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা বর্তমানে প্রতিনিয়ত ধর্মের কারণে লড়াইয়ের খবর দেখতে পাই। চলচ্চিত্রটি এই বিষয়েই প্রশ্ন তোলে। প্রশ্ন তোলে ধর্ম কি মানবতার থেকে বড়? একটি লেখক তার অভিজ্ঞতা দিয়ে লেখে। এই দেশ ভাগের অভিজ্ঞতা আমার পরিবারেরও রয়েছে এবং সবচেয়ে বড় কথা আমার শেকড়টাও বাংলাদেশের। এর শুটিংয়ে আমার বাংলাদেশের বাড়ির কিছু চিত্র আছে।
মোফাকখারুল ইকবাল বলেন, মাটি মানে মা। এই মাটির অনুভব আমি এবং প্রতিটি মানুষ করে। পশ্চিমবঙ্গের অনেক মানুষের শেকড় বাংলাদেশে। এখনও স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনেকে কেঁদে ফেলেন। লীনা দি যেভাবে চেয়েছেন বাংলাদেশ সরকার সেভাবে সহযোগিতা করেছে। দুই বাংলার বন্ধন আরও দৃঢ় হোক, সেই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা কাজ করে যাই। আশা করবো সিনেমাটি দর্শকদের মুগ্ধ করবে।
পাওলি দাম বলেন, লীনা দির সঙ্গে শেষ কাজ করেছি ‘চেনা-অচেনা’ চলচ্চিত্রে। এখানে আমার চরিত্রের নাম মেঘলা। যখন এই গল্পটা শুনি তখন আমার স্মৃতিগুলো নাড়া দিয়ে ওঠে। কারণ আমার বাবার বাড়ি ফরিদপুর এবং মায়ের বাড়ি ছিল যশোর। তাদের কাছে এতো গল্প শুনেছি যে স্ক্রিপটগুলোর সঙ্গে কোথায় যেন মিলে যাচ্ছিল। সেই স্বপ্নের ভালোবাসা থেকে আমি অভিনয় করি। আমি কেন, সবার মধ্যেই আছে একটু হলেও নিজের ভিটেমাটিটা দেখে আসি। আশা করবো লীনা দির পরিচালনায় ‘মাটি’ দর্শকদের মুগ্ধ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৮
জেআইএম/এইচএ/