ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

আইসিটি মামলায় গ্রেফতার কন্ঠশিল্পী আসিফ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৮
আইসিটি মামলায় গ্রেফতার কন্ঠশিল্পী আসিফ কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। 

ঢাকা: গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। 

মঙ্গলবার (৫ জুন) দিনগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।

সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শারমিন জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, তেজগাঁও থানায় শফিক তুহিনের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি করা হয় আসিফ আকবরকে। তাকে এফডিসি এলাকায় তার নিজস্ব স্টুডিও থেকে রাত দেড়টার দিকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (০৪ জুন) সন্ধ্যায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

মামলার এজাহারে শফিক তুহিন উল্লেখ করেন, আমি গত ২০ বছর ধরে সংগীত পেশায় গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ করছি। প্রায় সহস্রাধিক সংগীতকর্ম আমার রচনায় এদেশে প্রকাশিত হয়েছে, উল্লেখ্য আমার কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ আমি সেরা গীতিকার হিসেবে ২০১১ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বেসরকারি পর্যায়ে প্রায় অর্ধশতাধিক পুরস্কার অর্জন করেছি। গত ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর সার্চলাইট নামক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানতে পারি যে, আসিফ আকবর ও তার সহকারীরা তার অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছে। এর মধ্যে আমার রচিত গান- এইতো জীবন/বেদনাতে নীল/ অভিমানী/স্বার্থপর/কাঁদলাম আমি(শফিক তুহিন) কাঁদলামসহ প্রায় শতাধিক। পরে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে জানতে পারি, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রাইভেট লিমিটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লিমিটেড গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছে।

এজাহারে তিনি আরও বলেন, পরে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এই ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। তার ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ৯ টা ৫৯ মিনিটে আসিফ আকবর তার প্রায় ৩২ লাখ লাইকার সমৃদ্ধ ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন। ভিডিওতে আসিফ আকবর তাকে (শফিক তুহিন) শায়েস্তা করার কথা বলার পাশাপাশি ভক্তদের যেখানে অমাকে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশনা পেয়ে আসিফ আকবরের ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এছাড়া বিষয়টি সংগীতাঙ্গনের সুপরিচিত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার প্রীতম আহমেদসহ অনেকেই জানেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৭ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৮
জেআইএম/পিএম/এমএএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।