রোববার (১০ জুন) হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আমজাদ হোসেন রিভিশন গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের মূল নথি তলব করেছেন।
দুপুরে রিভিশন মামলা শুনানিকালে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
বাদী পক্ষের মূল আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ বাংলানিউজকে বলেন, কোন ভিত্তিতে শাকিবকে মামলার দায় থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তা সুস্পষ্ট নয়। সাধারণত যেকোনো মামলার প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজী দিলে তা পুনঃতদন্তের আদেশ দেওয়া হয়। শাকিবের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় নিম্ন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা জাহান নারাজী আবেদন গ্রহণ করে মামলাটির পুনঃতদন্তের আদেশ দেননি। নারাজী আবেদন না মঞ্জুর করে রাজনীতি সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজককে আসামি শ্রেণিভুক্ত করে শাকিবকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদেশ জারি করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট। যা বাদীকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করার সামিল।
হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আমজাদ হোসেন আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে ফৌজদারী রিভিশন গ্রহণ করেন এবং নিম্ন আদালতের মূল নথি তলব করেন।
প্রসঙ্গত, রাজনীতি সিনেমায় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে উদ্দেশ্যে করে পূর্ণ ডিজিটের একটি মোবাইল নম্বর বলেন শাকিব খান। যে নম্বরটির মালিক হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের সিএনজি চালক ইজাজুল মিয়া। এরপর থেকে ইজাজুলকে শাকিব খান ভেবে অসংখ্য ভক্ত ফোন করতে থাকে। একপর্যায়ে তা বিড়ম্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অবশেষে শাকিব খানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ইজাজুল।
মামলাটি হবিগঞ্জের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে সিনেমাটির পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস ও প্রযোজক আশফাক আহমদকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। শাকিবকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৮
এসআরএস