বাংলানিউজের ঈদ স্পেশালের এবারের আয়োজন ছোটবেলায় তারকাদের ঈদে পাওয়া সর্বোচ্চ সেলামি। তারকারা নিজ মুখেই জানালেন সে কথা।
নোটটি পেয়ে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম: আমিন খান
তখন খুব বেশি হলে সেলামি পেতাম ১০ টাকা। আর সবচেয়ে কম পেতাম এক টাকা। অবশ্য আমাদের ছোটবেলায় এই টাকাটাই অনেক বেশি ছিল। তবে একবার ১শ’ টাকা পেয়েছিলাম। সম্ভবত তখন পঞ্চম অথবা ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তাম। যিনি দিয়েছিলেন তিনি বাবার কলিগ ছিলেন। তার কাছ থেকে ১শ’ টাকার নোটটি পেয়ে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। বিশ্বাস হতে অনেক কষ্ট হচ্ছিলো। কারণ তখন এতো টাকা কেউ দিতেন না। ওই ঈদেই আমি সর্বোচ্চ ১৩০টাকা সেলামি পাই। এখন আর সেলামি পাই না। সবাইকে দিতে হয়। প্রতি ঈদে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা সেলামি দেওয়া লাগে।
এই ব্যাপারটাতে আমি কখনই বড় হবো না: শবনম বুবলী
ঈদে সেলামি পাওয়াটা ছিল অন্যরকম আনন্দের। এটা আমি এখন পর্যন্ত উপভোগ করি। ছোটবেলায় পেতাম, এখনও পাই। এই ব্যাপারটাতে আমি কখনই বড় হবো না। আমার দুই দুলাভাই সবসময় আমাকে আর আমার ছোট ভাইকে বলে রাখতেন, ঈদের দিন সকালে যে আমাদের আগে সালাম করবে তাকেই সেলামি দেবো। তাই ঈদের দিন সকালে রেডি হয়ে আমরা দু’জন গেটে বসে থাকতাম। যাতে দুলাভাইরা এলেই আগে সালাম করতে পারি। ছোটবেলায় এক ঈদে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পেয়েছিলাম। যতদূর মনে পড়ে টাকাটা দিয়ে বই কিনেছিলাম।
অনেক আফসোস করেছিলাম: সাইমন সাদিক
ঈদের দিন ঘুরে ঘুরে সেলামি সংগ্রহ করতাম। ছোটবেলায় আশা থাকতো একজনের কাছেই ১শ’-২শ’ টাকা পাবো। কিন্তু পেতাম মাত্র পাঁচ টাকা। আসলে তখন এই টাকাটাই আমাদের কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি ছিল। বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজন সবার কাছ থেকেই সেলামি পেতাম। যতদূর মনে পড়ে এক ঈদে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা পেয়েছিলাম। তবে আমি টাকা জমাতে পারতাম না। পেতাম আর ঘুরাঘুরি করে অথবা খেয়ে শেষ করে ফেলতাম। এক ঈদে সকাল থেকে সিনেমা দেখা শুরু করি। টানা তিনটি ছবি দেখে ফেলি। যে কারণে সে ঈদে কারও সঙ্গে দেখা হয়নি, সেলামিও পাইনি। পরেরদিন অনেক আফসোস করেছিলাম।
জীবনে একবারই সেলামি পেয়েছি: নওশাবা
কোনো ঈদেই আমার সেলামি নিয়ে তেমন আশা থাকতো না। কারণ আমার পরিবারে সেলামি দেওয়ার তেমন রেওয়াজ ছিল না। তাই আমিও সেলামি নিয়ে আশায় থাকতাম না। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি জীবনে মাত্র একবারই সেলামি পেয়েছি। ছোটবেলায় এক আত্মীয় ৫শ’ টাকা দিয়েছিলেন। সেটিই ছিল প্রথম এবং সেটিই ছিল শেষ। এরপর কখনও আর কারও কাছ থেকে সেলামি পাইনি।
বেশি পেতাম দশ টাকা: এবিএম সুমন
ছোটবেলায় পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়স্বজনদের কাছে সেলামির জন্য ঘুরঘুর করতাম। সালাম করেছি মানে সেলামি দিতেই হবে। কেউই অবশ্য নিরাশও করতেন না। ১শ’ টাকা পেলেই খুশি হয়ে যেতাম। সবচেয়ে বেশি পেতাম ১০ টাকার নোট। ৫শ’ ও ১ হাজার টাকাও পেতাম। তবে সেটা ছিল খুব কম। এক ঈদে সর্বোচ্চ মোট ৭ হাজার টাকা পেয়েছিলাম। ঈদে কে বেশি সেলামি পায় সেটা নিয়ে ভাইবোন ও বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা হতো। সময়গুলো এখন খুব মিস করি।
ঘুরে টাকা শেষ করে ফেলতাম: আইরিন
ঈদ এলে সেলামির অপেক্ষায় থাকতাম। বড়দের আগে থেকেই সেলামি দেওয়ার কথা বলে রাখতাম। ঈদে সেলামি না নিয়ে কেউই ছাড় পেতেন না। সবচেয়ে বেশি পেতাম ১শ’ টাকার নোট। আর সর্বোচ্চ এক ঈদে পেয়েছিলাম ১৫০০ টাকা। তাতেই মহাখুশি ছিলাম। তবে অনেকে সেলামির টাকা জমিয়ে রাখতো। কিন্তু আমি তা পারতাম না। কিছু পছন্দ হলে কিনে ফেলতাম। আবার ঈদের দিন বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরেই টাকা শেষ করে ফেলতাম।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৮
জেআইএম/আরআর