ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় আর নেই

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় আর নেই সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়

ঢাকা: না ফেরার দেশে চলে গেলেন ভারতীয় প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়। 

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ বাড়িতেই ৯১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন গুণী এই সঙ্গীতশিল্পী।

জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়। তাছাড়া বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা তো ছিলোই। তবে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।

আধুনিক ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে খ্যাতনামা ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের এই সঙ্গীত তারকা। তার কণ্ঠের ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানটি দুই বাংলাতেই সমান জনপ্রিয়। বেজে ওঠে বৈশাখ এলেই।

সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতস্বরুপ ২০১০ সালে ভারতের পদ্মভূষণ পদক পান দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়। এরপর ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা বঙ্গবিভূষণে ভূষিত হন তিনি।

সলিল চৌধুরী সুরে তার কণ্ঠের ‘একদিন ফিরি যাব চলে’, ‘ক্লান্তি নামে গো’, শ্যামল বরণী ওগো কন্যা’ গানগুলো সঙ্গীত ভুবনে অন্য মাত্রা যোগ করে। চল্লিশ দশকের শেষদিকে দ্বিজেনের কণ্ঠের এই গানগুলো বের হয়েছিলো।

এছাড়া ‘ক্ষুদিত পাষাণ’, ‘সন্ধ্যা রাগ’, ‘বন পলাশীর পদাবলী’, ‘কাঁচের স্বর্গ' সিনেমায় গাওয়া তার কণ্ঠে বেশকিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত শ্রোতামহলে দারুণ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলো।

দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ‘জাগা দূর্গা’ শিরোনামের গানটি পশ্চিবঙ্গের শ্রোতাদের মুখে মুখে ছিল আছে এবং থাকবে। ৬০ বছর আগে গাওয়া গানটি আজও সমান জনপ্রিয়। কারণ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজায় এলেই বেজে ওঠে গানটি। বলা হয়ে থাকে শুধুমাত্র এই গানটির জন্য হলেও বেঁচে থাকবেন দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়।

গুণী এই সঙ্গীতশিল্পী কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন। সর্বশেষ এসেছিলেন ২০১৬ সালে, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে।

দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় ১৯২৭ সালের ১২ নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৪৪ সালে তিনি সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
ওএফবি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।