এরপর নানা পাটেকর এবং আরও তিনজনের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারা পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করছিলেন তনুশ্রী। এতে নানা পাটেকর, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য, পরিচালক রাকেশ সারাং ও প্রযোজক সামি সিদ্দিকির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় যৌন হেনস্থা ও অশ্লীলতার অভিযোগ আনা হয়।
তবে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শেষে মুম্বাই পুলিশ স্থানীয় আদালতের কাছে জানিয়েছে ওই ঘটনায় নানার বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পরমজিৎ সিংহ দাহিয়া জানান, অন্ধেরির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ‘বি সামারি’ প্রতিবেদন পেশ করেছে ওশিওয়াড়া পুলিশ। চার্জশিট তৈরির জন্য অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যখন যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় না, তখন ‘বি সামারি’ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
তনুশ্রী দত্তের আইনজীবী নিতিন সতপুতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুলিশ তাদের এখনও কিছু লিখিত জানায়নি। মামলা খারিজ করা হলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
আদালতের বক্তব্যর পর তিনি বলেন, নানা পাটেকরকে বাঁচানোর জন্য পুলিশ অবহেলিত ভাবেই কাজ করে গেছে। এখনও অনেক সাক্ষীর বিবৃতি রেকর্ড করা হয়নি। এমনকি সায়নি শেট্টির বক্তব্যও পুরোপুরি রেকর্ড করা হয়নি। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করেনি, তাই আমরা এই রিপোর্টের বিরোধিতা করে বম্বে হাইকোর্টে একটি লিখিত আবেদন জানাবো।
পুলিশের প্রতিবেদনের পর যৌন হেনস্থার অভিযোগ থেকে কিছুটা স্বস্তি পেলেন ৬৮ বছর বয়সী এই অভিনেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
জেআইএম