পৃথিবীর বুকে মাইকেল জ্যাকসন একটি বিস্ময়কর নাম। তুমুল জনপ্রিয় এই ব্যক্তিত্ব ছিলেন একাধারে কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার ও নৃত্যশিল্পী।
মানুষ বিস্মিত হয়ে শুনেছেন তার গান, দেখেছেন তার নৃত্য আর ভেবেছেন এই অতিমানব সম্পর্কে। মাইকেলের কনসার্টে লাখো ভক্তের সমাগম আর উন্মাদনা ভোলার মতো নয়। কতজন তার গানে কেঁদেছেন, উন্মাদনায় পাগলপ্রায় হয়েছেন, জ্ঞান হারিয়ে মূর্ছা গেছেন তার কোন ইয়ত্তা নেই।
কোটি কোটি ভক্তের হৃদয় সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর দশ বছর পরেও তার জনপ্রিয়তা ও মর্যাদার স্থান এখনও অটুট। মাইকেলের জনপ্রিয়তার ছোট একটা দৃষ্টান্ত হলো তার মৃত্যুর পর বিশ্বজুড়ে ভক্তদের প্রতিক্রিয়া। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ভক্তরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন, খবরটি আদৌ সত্য কিনা-তা যাচাই করতে। কোনও ভক্তই সহজে বিশ্বাস করে উঠতে পারেন নি। বিশ্বজুড়ে গুগুলে Michael Jackson শব্দটি এতো বেশি সার্চ করা হয় যে গুগল ভেবেছিল এটা কোন ডিডস ভাইরাস! প্রায় ৩০ মিনিট সার্চ ইঞ্জিন বন্ধ করে রেখেছিল গুগল।
উইকিপিডিয়াতেও এতো বেশি মানুষ মাইকেল সম্পর্কে জানতে ঢুঁ মারেন যে, চাপ সহ্য করতে না পেরে উইকিপিডিয়া প্রথমবার ক্রাশ করে। এছাড়া টুইটার, বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল ও ইন্টারনেটে এতো বেশি আলোচনা ও তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে যা ইন্টারনেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল।
মাইকেল জ্যাকসনের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষ দেখেছেন যা এই গ্রহে সর্বোচ্চ রেকর্ড। মাইকেলের দেহ বিদায় নিলেও তার সৃষ্টি চির অম্লান রবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, ২৫ জুন, ২০১৯
জেআইএম