শুক্রবার (২৮ জুন) গানের পাখি ফেরদৌসী রহমানের ৭৮তম জন্মদিন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গুণী এই শিল্পীর সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের।
তিনি বলেন, শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছি। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যার কারণে নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে। তাই বাসাতে সময় এখন সময় কাটছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দাওয়াত থাকলেও যেতে পারছি না।
জন্মদিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যরা উইস করেছে। এছাড়া স্বজন ও গানের মানুষেরা খোঁজ নিচ্ছেন। জন্মদিন বলেই আজ অনেকের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এজন্য কিছুটা ভালো তো লাগছেই। যাই হোক, আমার জন্য দোয়া করবেন।
‘যে জন প্রেমের ভাব জানে না’, ‘যার ছায়া পড়েছে মনের আয়নাতে’, ‘প্রাণ সখিরে, ঐ শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে’, ‘পদ্মার ঢেউরে’, ‘ও কি গাড়িয়াল ভাই’সহ অনেক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি।
১৯৪১ সালে ২৮ জুন কুচবিহারে জন্মগ্রহণ করেন ফেরদৌসী রহমান। তার পিতা পল্লীগীতি সম্রাট আব্বাস উদ্দিন। বাবাই তার প্রথম সঙ্গীতগুরু । পরবর্তীতে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, ইউসুফ খান কোরেইশী, কাদের জামেরী, গুল মোহাম্মদ খান, নাজাকাত আলী খান ও সলামাত আলী খান প্রমুখ নামজাদা ওস্তাদদের কাছ থেকে গানের তালিম নেন তিনি।
১৯৫৭-৭০ সাল পর্যন্ত নিয়মিত সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ফেরদৌসী রহমান। ২৫০- এর অধিক সিনেমার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। প্র্রকাশ করেছেন ২০টি মতো অ্যালবাম। তার রেকর্ডকৃত গানের সংখ্যা পাঁচ হাজারেরও অধিক। বাংলা ছাড়াও গেয়েছেন উর্দু, ফারসি, আরবি, চীনা, রুশ, জার্মান’সহ আরও কিছু ভাষার গান।
বিভিন্ন ঘরানার গানে তার রয়েছে সমান দক্ষতা। একইসঙ্গে গেয়েছেন উচ্চাঙ্গসঙ্গীত, পল্লীগীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত, ইসলামিক গান-গজল ও আধুনিক গান।
ফেরদৌসী রহমান নজরুল ইন্সটিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য একুশে পদক’সহ দেশ-বিদেশের আরও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ‘লাহোর চলচ্চিত্র সাংবাদিক পুরস্কার (১৯৬৩ সাল)’, ‘প্রেসিডেন্ট প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার (১৯৬৫ সাল)’, ‘নাসিরউদ্দিন গোল্ড মেডেল পুরস্কার’।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
ওএফবি