সোমবার (১৫ জুলাই) অমর চলচ্চিত্র অভিনেতা বুলবুল আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী। আর এই উপলক্ষেই একদিন আগে রোববার (১৪ জুলাই) বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেতার হাতে সম্মাননাটি তুলে দেন বুলবুল আহমেদের পরিবারের সদস্যরা।
২০১০ সালের ১৫ জুলাই বুলবুল আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। তার স্মৃতিকে ধরে রাখা এবং অভিনয় জগতে অনবদ্য অবদান রাখা গুণী শিল্পীদের সম্মাননা প্রদান করার জন্য গঠিত হয় বুলবুল আহমেদ ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এটিএম শামসুজ্জামানের হাতে পদকের পাশাপাশি ‘একজন মহানায়কের কথা’ বইটি তুলে দেন প্রয়াত বুলবুল আহমেদের স্ত্রী ডেইজি আহমেদ ও তার বড় মেয়ে তাহসিন ফারজানা তিলোত্তমা।
সেসময় এটিএম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনী জামান ও পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে এই গুণী অভিনেতার শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে। তিনি সাধারণ খাবার খাচ্ছেন ও স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন।
সম্মাননা প্রসঙ্গে বুলবুল আহমেদের ছোট মেয়ে ঐন্দ্রিলা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর আমরা বুলবুল আহমেদ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গুণী অভিনেতাদের সম্মাননা প্রদান করে থাকি। শিল্পকলা একাডেমিতে বাবার স্মরণসভা আয়োজন করে সম্মাননা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এ বছর অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না। তাই মা ও আমার বোন হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন গুণী অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আঙ্কেলকে এই সম্মাননা তুলে দিয়েছেন।
১৯৬৮ সালে টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করেন বুলবুল আহমেদ। আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমামের ‘ইয়ে করে বিয়ে’র মধ্য দিয়ে ১৯৭৩ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার।
চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী এই অভিনেতার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘সূর্যস্নান’, ‘সীমানা পেরিয়ে’, ‘মোহনা’, ‘রূপালী সৈকতে’, ‘জীবন নিয়ে জুয়া’, ‘সোহাগ’, ‘অতিথি’, ‘বধূবিদায়’, ‘দেবদাস’, ‘ওয়াদা’, ‘ভালোমানুষ’, ‘মহানায়ক’, ‘রাজলক্ষ্মী-শ্রীকান্ত’, ‘শুভদা’, ‘শহর থেকে দূরে’, ‘অঙ্গার’ প্রভৃতি। বহু টিভি নাটকেও এই গুণী শিল্পী অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে এইসব দিনরাত্রি, বরফগলা নদী, ইডিয়েট, মাল্যদান, শেষ বিকেলের মেয়ে, মালঞ্চ, বড়দিদি, আরেক ফাল্গুন উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এমকেআর/জেআইএম