রোববার (৪ আগস্ট) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘এসএইচকে গ্লোবাল’
প্রযোজিত সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন স্বনামধন্য পরিচালক সি.বি. জামান এবং ‘এসএইচকে গ্লোবাল’র চেয়ারম্যান শামস হাসান কাদির।
এ বিষয়ে পরিচালক সি.বি. জামান বলেন, ‘১৯৯০ সালে আমার সবশেষ সিনেমা ‘কুসুম কলি’ মুক্তি পায়। এরপর অনেক প্রযোজক আমাকে সিনেমা বানানোর প্রস্তাব দেন। কিন্তু কোনো না কোনো অসঙ্গতির কারণে কাজ করিনি। এবার সব কিছু ব্যাটে-বলে মিলে যাওয়ায় দীর্ঘ বিরতির পর পরিচালনায় ফিরলাম। ’
এ প্রসঙ্গে এসএইচকে গ্লোবাল এর চেয়ারম্যান শামস হাসান কাদির বলেন, ‘জীবিত অবস্থায় আমরা গুণীদের সম্মান দিতে পারি না, এটা আমাদের দেশের একটা সমস্যা। তাই গুণীদের সম্মান জানানোর ধারা চালু করার প্রয়াসে আমাদের জীবন্ত কিংবদন্তি সি.বি. জামান স্যারকে ‘এডভোকেট সুরাজ’ সিনেমার পরিচালক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা। ’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু ওনাকে না বাংলাদেশের সিনিয়র পরিচালক, শিল্পী-কলাকুশলীদের একটা লিস্ট আমরা করেছি। ধারাবাহিকভাবে তাদের নিয়ে কাজ করবো। ’
১৯৬৬ সালে লাহোর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সহকারি পরিচালক হিসেবে সি.বি. জামান ক্যারিয়ার শুরু করেন। ১৯৭৩ সাল হতে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সরাসরি সিনেমা পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ সময়ে তিনি নির্মাণ করেন- ঝড়ের পাখি (১৯৭৩), উজান ভাটি (১৯৮২), পুরস্কার (১৯৮৩), শুভরাত্রি (১৯৮৫), হাসি (১৯৮৬), লাল গোলাপ (১৯৮৯) ও কুসুম কলি’র (১৯৯০) মতো কালজয়ী সিনেমা। এর মধ্যে ব্যবসায়িক সফলতার পাশাপাশি ‘পুরস্কার’ সিনেমাটি ১৯৮৬ সালে ৯টি ক্যাটাগরির মধ্যে ৬টি’তে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।
জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি ‘পুরস্কার’ চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিকভাবে ভারতের ‘গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’, ‘দিল্লী ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ ও রাশিয়ার ‘তাশখান্দ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে’ প্রদর্শিত ও প্রশংসিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
ওএফবি