খৈয়ামের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার মুখপাত্র প্রীতম শর্মা বলেন, ‘‘প্রখ্যাত সুরকার খৈয়াম সাহেব আমাদের মধ্যে আর বেঁচে নেই। মুম্বাইয়ের সুজয় হাসপাতালে সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
গত ২৮ জুলাই ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান সঙ্গীত পরিচালক। প্রায় ২১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হেরে গেলেন তিনি।
তার মৃত্যুর খবরে ভারতীয় সঙ্গীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোকবার্তা জানিয়েছেন। শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, ঋষি কাপুর, আয়ুষ্মান খুরানা, প্রখ্যাত গীতিকবি জাভেদ আখতার, কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর, আদনাম সামিসহ বহু তারকা।
টুইটারে লতা মঙ্গেশকর লেখেন, 'মহান সঙ্গীতকার এবং খুব ভালো মনের মানুষ খৈয়াম সাহেব আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। তার মৃত্যুর খবর শুনে আমার এত কষ্ট হচ্ছে যে, যা প্রকাশের ভাষা আমি হারিয়ে ফেলেছি। খৈয়াম সাহেবের সঙ্গে সঙ্গীতের একটি যুগের অবসান ঘটলো। তার প্রতি রইলো আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। '
১৯২৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের পঞ্জাবে মোহম্মদ জহুর খৈয়াম হাশমির জন্ম। ছোটবেলা থেকেই হিন্দি সিনেমার গানের প্রতি তার অনেক আগ্রহ ছিল। ১৯৬১ সালে রমেশ সহগলের ‘শোলা অওর শবনম’ সিনেমার গানে সুর দিয়ে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে তার অভিষেক ঘটে। এরপর একে একে ‘ত্রিশূল’, ‘বাজার’, ‘উমরাও জান’, ‘নুরি’, ‘রাজিয়া সুলতান’র মতো সিনেমায় সুর করে নিজেকে নিয়ে যান এক অনন্য উচ্চতায়।
প্রায় চার দশক ধরে বলিউডে খৈয়ামের বিচরণ ছিল। ‘উমরাও জান’ সিনেমার জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সঙ্গীত-নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন ২০০৭ সালে। ২০১০ সালে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে আজীবন সম্মাননা পান তিনি। এরপরে ২০১১ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মভূষণে সম্মানিত করে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
জেআইএম