আগামী ২৯ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় নাট্যশালার মঞ্চে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। এর নির্দেশনা ও নামভূমিকায় একক অভিনয় করছেন এইচ আর অনিক।
এই নাটকের গল্প প্রসঙ্গে অপূর্ব কুমার কুণ্ডু জানান, নাটকটির গল্প এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে ঘিরে। দিল্লির যুবরাজ মুহম্মদ বুলবন তার সময়কালে মহা সাড়ম্বরে এক বিশ্বকবি সম্মেলনের আয়োজন করেন। ওই সম্মেলনে প্রধান কবি হিসেবে আমন্ত্রণ পান শেখ সাদী। তার বন্ধু দিল্লির কবি আমির খসরু আমন্ত্রণপত্র লেখেন। রাষ্ট্রীয় সম্মান এবং বন্ধুর আহবানে শেখ সাদী বেশ উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন। কিন্তু বার্ধক্যজনিত কারণে সে আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দিল্লি আসতে পারেননি এই কবি।
শেখ সাদী তার জীবনের শেষ দিনগুলো শিরাজি নগরীতে কাটাতে চেয়েছিলেন। যেখানে তার জন্ম-শৈশব-কৈশোর ও যৌবনের সোনালী সময় কেটেছে। তাই বন্ধুর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তিনি দিল্লি আসতে পারেননি। তবে না আসলেও শেখ সাদী তার রচিত ‘গুলিস্তা’, ‘বুলিস্তা’সহ অন্যান্য রচিত গ্রন্থ তুলে দিয়েছিলেন শিরাজিতে অভ্যাগত দিল্লির রাষ্ট্রীয় অতিথিদের হাতে। ইতিহাসের এই সত্যকে ঘিরেই নাটকটির গল্প।
এই নাটকের সঙ্গীত পরিচালনা করছেন হামিদুর রহমান পাপ্পু। মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় ফজলে রাব্বী সুকর্ণ। আলোক পরিকল্পনায় এস এম অঞ্জন ও কাজী নজরুল ইসলাম। শিল্প নির্দেশনায় সুজন মাহাবুব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
ওএফবি