ব্যর্থতার জয়গান গেয়ে ‘কৃষ’খ্যাত এই তারকা জানান, আজকের যে ঋত্বিক রোশন তৈরি হয়েছে, তা সম্ভব হয়েছে তার অনেকগুলো ব্যর্থতার কারণেই।
ঋত্বিক রোশনের যাত্রা শুরুই হয়েছিল একটি ব্লকবাস্টার সিনেমা দিয়ে।
এই যাত্রায় সাফল্যের সঙ্গে অনেক ব্যর্থতাও ছিল ঋত্বিকের। এই অভিনেতা বিশ্বাস করেন, তার ব্যর্থতাগুলো তাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়েছে।
ঋত্বিক বলেন, ‘আজ আমি যখন পেছন ফিরে তাকাই, মনে হয় আমি অনেক দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। সেখানে সাফল্য আছে, ব্যর্থতাও আছে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমার ব্যর্থতা থেকে পাওয়া শিক্ষাগুলো। আমার ব্যর্থতাগুলোই এই আজকের আমাকে বানিয়েছে। ’
আরও পড়ুন: ঋত্বিক রোশন এখন ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ’
ঋত্বিক অভিনীত ‘ফিজা’, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’, ‘কোই মিল গায়া’, ‘ধুম টু’ ও ‘জিন্দেগী না মিলেগি দোবারা’, ‘কৃষ’ হিট সিনেমার তকমা পেয়েছে। অপর দিকে ‘ইয়াদেন’, ‘না তুম জানো না হাম’, ‘লক্ষ্য’, ‘কাইটস’ ও ‘মহেঞ্জোদারো’ সিনেমাগুলো হিট হতে পারেনি। এরপরও ঋত্বিক একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে তার বহুমুখী প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ করে চলেছেন।
ফলে তার সাফল্যের মুকুটে সর্বশেষ পালকটি যোগ করেছে ‘সুপার ৩০’। তার ভাষায়, ‘ব্যর্থতাই আমাকে আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যেতে সহায়তা করেছে। ’
‘আমি সবসময় আমার চরিত্রকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চেষ্টা করি। ‘কোই মিল গ্যায়া’র রোহিত, বা ‘কাবিল’র রোহান, বা ‘গুজারিশ’র ইথান, বা ‘সুপার ৩০’র আনন্দ কুমার সবার ক্ষেত্রেই একথা প্রযোজ্য। বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে আমি ডুবে যেতাম। একজন অভিনেতা হিসেবে আমি এখন নিজেকে আরও উৎসাহিত এবং ক্ষমতাবান অনুভব করি। আমি বরাবরই একে উপভোগ করে চলেছি। আজও আমি যা চাই তা অর্জন করতে হলে আমাকে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমি যা করি তাতে আরও উন্নত হতে এবং আমার কাছ থেকে সবাই যেমনটা আশা করে তেমনটা উপহার দিতে আমাকে সবসময়ই প্রয়াস চালিয়ে যেতে হয়,’ যোগ করেন ঋত্বিক।
গ্লামারহীন চরিত্রে ‘সুপার ৩০’ সিনেমাকে দারুণ সাফল্য এনে দেওয়ার পর ঋত্বিককে আবার দেখা যাবে তার অ্যাকশনধর্মী ‘ওয়ার’ সিনেমায়। সিনেমাটি এবছরের অক্টোবরে মুক্তি পাবে।
আরও পড়ুন: ‘ওয়ার’র ঝলক দেখালেন ঋত্বিক ও টাইগার
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এমকেআর