এর মধ্যেই কোনো ঝামেলা ছাড়া ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন ‘গুমনামী’কে ছাড়পত্র প্রদান করেছে। বিনা কর্তনে সিনেমাটিকে ‘ইউ’ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের একটি সংবাদমাধ্যমে সৃজিত মুখার্জি বলেন, ‘‘মুখার্জি কমিশন’র রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু সংক্রান্ত তিনটি থিয়োরি ‘গুমনামী’তে দেখানো হয়েছে। সুতরাং এতে ইতিহাসের বিকৃতিও করা হয়নি, কোনো মতও প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়নি। ’
সিনেমাটিতে সুভাষচন্দ্র বসুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আরও রয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও তনুশ্রী চক্রবর্তীসহ অনেকে।
অঞ্জু ধর ও চন্দ্রচূড় ঘোষের লেখা ‘কোনানড্রাম’ বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সৃজিত ‘গুমনামী’ নির্মাণ করেছেন। কথিত রয়েছে, ১৯৭০ সালের দিকে ভারতের উত্তর প্রদেশে আর্বিভাব ঘটে গুমনামী বাবার। কারো কারো মতে, এই বাবাই ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এই ধারণার উপর ভিত্তি করেই সিনেমাটির চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে।
টিজার প্রসঙ্গে সৃজিত বলেন, নেতাজি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি এবং এখনও বেঁচে আছেন। এই কথা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। এখনও সেই চর্চা অব্যাহত। তার মৃত্যু আজও রহস্য। সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার সময় যে অনুভূতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি আশা করবো সিনেমাটি দেখার পর দর্শকেরও সেই একই উত্তেজনা হবে।
আসন্ন দুর্গা পূজাতে ‘গুমনামী’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
জেআইএম