শৈশব থেকেই সঙ্গীত অনুরক্ত ছিলেন আব্দুল আলীম। অর্থনৈতিক টানাপড়েনের কারণে কোনো ওস্তাদের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য হয়নি তার।
দেশভাগের পর আবদুল আলীম ঢাকা এসে বেতার-শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন। এখানে বেদারউদ্দীন আহমদ, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, মমতাজ আলী খান, আব্দুল লতিফ, কানাইলাল শীল এবং আব্দুল হালিম চৌধুরীর সহায়তায় তিনি লোকসঙ্গীত ও উচ্চঙ্গসঙ্গীতে পারদর্শী হয়ে উঠেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে আব্দুল আলীমের গানের প্রথম রেকর্ড হয়। রেকর্ডকৃত গান দুটি হল ‘তোর মোস্তফাকে দে না মাগো’ এবং ‘আফতাব আলী বসলো পথে’।
আসছে ৫ সেপ্টেম্বর আব্দুল আলীম’র ৪৫তম প্রয়াণ দিবস। ১৯৩১ সালে ২৭ জুলাই ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৭৫ সালে ৫ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে চলে যান। প্রয়াণ দিবসে গুণী এই শিল্পীর স্মরণে গাইবেন তার দুই ছেলে আজগর আলীম ও জহির আলীম।
গুণী এ শিল্পীর প্রয়াণ দিবসের সকাল সাড়ে ৭টায় চ্যানেল আইয়ের স্টুডিও থেকে সরাসরি প্রচার করবে তারই দুই পুত্র আজগর আলীম ও জহির আলীমের অংশগ্রহণে বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘গানে গানে সকাল শুরু’। প্রায় দেড় ঘণ্ঠাব্যাপি এ অনুষ্ঠানে তার সন্তানরা বাবার গানের বিশাল ভাণ্ডার থেকে গান পরিবেশন করতে দেখা যাবে।
আব্দুল আলীমের পিতা ছিলেন মোহাম্মদ ইউসুফ আলী এবং মাতা খাসা বিবি। ১৯৫৬ সালে আব্দুল আলীম বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’- এ প্লেব্যাক করেন। ‘সুজন সখী’র প্লেব্যাকের জন্য ১৯৭৪ সালে সেরা পুরুষ গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। ১৯৭৭ সালে আব্দুল আলীমকে মরণোত্তর ‘একুশে পদক’ এবং ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতা দিবসে ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯
ওএফবি