সম্প্রতি বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আজান বলেছেন, ‘আমি এ বিষয়ে আগে কখনোই মুখ খুলিনি, কারণ তিনি আমার বাবা। আমি তাকে ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি।
আজান নিজেও একজন গীতিকার। তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানকেই তার বাড়ি বলে পরিচয় দিতে তিনি গর্ববোধ করেন। ‘ভারতে আমার দারুণ কিছু বন্ধু আছে। আমার জীবনের অনেকটা সময় সেখানেই কাটিয়েছি, বিশেষ করে উঠতি বয়সে। কিন্তু পাকিস্তানই আমার বাড়ি। আমি এখানেই বেড়ে উঠেছি এবং পাকিস্তানের শিল্পজগতকেই আমার পরিবার বলে অনুভব করি। আমাকে নিয়ে তারা অনেক গর্বিত, আশাবাদী এবং উচ্চাভিলাষী যে, আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক অবদান রাখব,’ যোগ করেন তিনি।
তার এবং তার বাবা আদনান সামির রাজনৈতিক মতাদর্শ সম্পর্কে বলতে গিয়ে আজান বলেন, ‘আমি ও আমার বাবা যা বলাবলি করি তা আমাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। আমাদের খুব পরীক্ষিত একটি সুসম্পর্ক আছে। আমি আমার মায়ের সঙ্গেই বড় হয়েছি। কিন্তু বাবার সঙ্গেও আমার সম্পর্ক বন্ধুর মতোই। তার কাছেই আমি বিভিন্ন উপদেশের জন্য ছুটে যাই। এটা খুব মজাদার সম্পর্ক, কারণ এমনও হয় যে, মাসের পর মাস আমাদের মধ্যে কথা হয় না, কিন্তু যখন কথা হয় তখন পরস্পরকে খুব আপন করেই অনুভব করি। আর সন্তান হিসেবে আমার বাবা-মা কী করেন সে বিষয়ে মন্তব্য করা আমার উচিত নয়। আমি পরামর্শ দিতে পারি, কিন্তু তারা কী করবেন সেটা নিশ্চয় বলতে পারি না। ’
পাকিস্তানের সাবেক নাগরিক আদনান সামি ১৯৭১ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা পশতুন এবং মা জম্মুর নাগরিক। ১৯৮৪ সাল থেকেই তিনি সঙ্গীতজগতে কাজ করছেন। ১৯৯৩ সালে পাকিস্তানি অভিনেত্রী জেবা বখতিয়ারকে বিয়ে করেন। তাদের সন্তান আজান সামি খান। মাত্র তিন বছর পরই তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। ২০১৫ সালে আদনান ভারতের নাগরিকত্ব লাভ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এমকেআর