তাছাড়া ফারিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ফেসবুকে ছড়িয়েছেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মেহেদী হাসান ফরহাদ নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পল্টন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ফারিয়া।
এ প্রসঙ্গে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) শবনম ফারিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘রিয়্যালিটি শো ‘কে হবে মাসুদ রানা’র প্রথম পর্যায়ের বাছাই পর্বের পাঁচজন বিচারকের একজন ছিলাম আমি। প্রতিযোগিতাটির কিছু দৃশ্য নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের কথা বলছেন। প্রতিযোগীদের সঙ্গে বিচারকদের খারাপ ব্যবহারের কথাও বলা হচ্ছে। ’
‘মূলত সবকিছুই ছিল শোয়ের অংশ। ‘মাসুদ রানা’ খুব কঠিন একটি চরিত্র, যার জন্য অভিনেতাদের প্রচণ্ড মানসিক শক্তি প্রয়োজন। আর তাই প্রতিযোগীদের নানাভাবে মানসিক শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কেউ কেউ সেটাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে’, যোগ করেন তিনি।
ফারিয়া আরও বলেন, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজে অনেকে বাজে বাজে মন্তব্য করছেন। একজন আমার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ফেসবুকে প্রকাশ করে ফেলেছেন। ফলে অনেক অপ্রত্যাশিত কল পাচ্ছি, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই বাধ্য হয়ে আমি থানায় জিডি করেছি। তাছাড়া পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করেছি। আগামী রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করবো। ’
‘কে হবে মাসুদ রানা’র প্রাথমিক পর্যায়ের অন্য বিচারকরা হলেন- শাফায়েত মনসুর রানা, ইফতেখার আহমেদ ফাহমি, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, জাকিয়া বারী মম প্রমুখ। চ্যানেল আইতে ৬ সেপ্টেম্বর ‘কে হবে মাসুদ রানা’ প্রতিযোগিতার রাউন্ড পর্বের প্রচার শেষ হবার কথা। এরপরই অনুষ্ঠিত হবে এর গ্র্যান্ড ফিনালে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
জেআইএম