এই আয়োজন উপলক্ষে সোমবার (৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়িকা কবরী, চিত্রনায়ক আলমগীর, কথাসাহিত্যিক এমদাদুল হক মিলন, সাইমন, বাপ্পী, পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোল, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু প্রমুখ।
এই আয়োজনে উপস্থিতির উদ্দেশ্যে চিত্রনায়ক আলমগীর বলেন, সিনেমার খুব খারাপ সময় যাচ্ছে, এ বিষয়ে সবাই অবগত। দিন দিন সিনেমা হলের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। মানুষ সিনেমা হলে যাচ্ছে না। এমন আরও অনেক নেতিবাচক বিষয় রয়েছে। এসবের মধ্যেও কিছু ভালো দিক রয়েছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সাংবাদিক ভাইয়েরা লিখবেন।
তিনি আরও বলেন, এই আয়োজনের উদ্দেশ্য চলচ্চিত্রে উন্নয়ন। বাংলাদেশ-ভারতের সম্মিলিত প্রয়াসে ভালো কিছু করা। আর শুধু বাণিজ্যিক চিন্তায় সিনেমা নির্মাণ করলে হবে না। শিল্প এবং বাণিজ্যের মিশ্রণে সিনেমা বানাতে হবে। তাহলে মানুষ সিনেমামুখী হবে। একটা সময় তা-ই হতো। কিন্তু এখন শুধু বাণিজ্যিক চিন্তা করে সিনেমা বানানো হয়। যে কারণে শিল্প-বাণিজ্য-সিনেমা কোনটিই হচ্ছে না। আমি আশাবাদী, ‘ভারত-বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’র মাধ্যমে দুই দেশের সিনেমার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।
ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার সভাপতি ফেরদৌস হাসান বলেন, এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান এবার বাংলাদেশে হচ্ছে। সামনে ভারতে, সিঙ্গাপুরে এবং যেকোনো দেশে হতে পারে। পারস্পরিক সহযোগিতা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে দুই দেশের সিনেমার উন্নয়নে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। সেটি অব্যাহত থাকবে বলেই আমার বিশ্বাস।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইমদাদুল হক মিলন, চিত্রনায়িকা কবরী, অভিনেতা সাইমন ও বাপ্পী, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোল।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
ওএফবি/এমকেআর