মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানী মহাখালীর একটি হাসাপাতালে ইসিজি ও সিটি স্ক্যান পরীক্ষার পর তার ফুসফুস ও যকৃতে টিউমার পাওয়া গেছে। এরপর এই রিপোর্ট পাঠানো হয় ব্যাংককের স্যামিটিভেজ সুকুমভিত হাসপাতালে।
ক্যান্সার কোন পর্যায়ে আছে, সেটি জানার জন্য করতে হবে পেট সিটি পরীক্ষার। সেজন্য আলাউদ্দীন আলীকে দ্রুত ব্যাংককে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেখানকার চিকিৎসক জানিয়েছেন। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আলাউদ্দীন আলীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তার স্ত্রী ফারজানা আলী বাংলানিউজকে অবগত করেন।
ফারজানা আলী বলেন, ‘তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। যতো দ্রুত সম্ভব ব্যাংকক নিয়ে যেতে হবে। ভিসার আবেদন করেছি, এটি হাতে পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত পেয়ে যাবো। ’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ওনার চিকিৎসার জন্য ২৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ১৭ লাখ টাকা তার চিকিৎসায় খরচ হয়েছে। এখন আমার হাতে ৮ লাখ টাকা আছে। এটিই আমার সম্বল। আরও অনেকেই সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এখন ভিসা পেলেই আল্লাহর নামে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। আপনারা দোয়া করবেন। ’
এর আগে ২০১৫ সালে আলাউদ্দীন আলীর শরীরের ক্যান্সার ধরা পড়লে ব্যাংককের ওই হাসপাতালে ৬ মাসের চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। সেই সময় তাকে ৮টি কেথোথেরাপি দেওয়া হয়। চার বছর পর আবার গুণী এই সংগীত ব্যক্তিত্বের শরীরের দেখা দিলো সেই ক্যান্সার।
গত ২২ জানুয়ারি রাত ১১টায় অসুস্থ আলাউদ্দীন আলীকে রাজধানী মহাখালীর ইউনিভার্সেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে দুই মাসের বেশি সময়ের চিকিৎসায় তিনি প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেন। এরপর তাকে সিআরপিতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসায় তার শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হলে গত ১৭ জুলাই বাসায় ফেরেন তিনি। এখন আবার দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
ওএফবি