সম্প্রতি জগন শক্তি পরিচালিত ‘মিশন মঙ্গল’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। সিনেমাটি প্রথম সপ্তাহেই ১০০ কোটি রুপির বেশি আয় করে।
বিদ্যার ক্যারিয়ার এখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে পৌঁছেছে। একের পর এক প্রভাবশালী চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পাচ্ছেন তিনি। ‘মিশন মঙ্গল’র পর তিনি ‘মানব কম্পিউটার’খ্যাত গণিতজ্ঞ শকুন্তলা দেবীর বায়োপিকে অভিনয় শুরু করেছেন চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই। জানা গেছে, ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে রিতেশ বাত্রার ওয়েব সিরিজে অভিনয় করবেন তিনি।
‘মিশন মঙ্গল’ সিনেমায় বিদ্যার সহ-অভিনেত্রী তাপসী পান্নু বিদ্যাকে তার অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচনা করেন। এ প্রসঙ্গে বিদ্যা একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিনি বাড়িয়ে বলেছেন। তবে মানুষ যখন স্বীকৃতি দেয়, তখন কিন্তু ভালই লাগে। আমি সঠিক সময়ে সঠিক জায়গাতে ছিলাম। ফলে আমি পরিবর্তনের প্রতিমুখ হয়ে উঠি। আমার সৌভাগ্যকে ধন্যবাদ জানাই। আমার মা-বাবাকেও এজন্য ধন্যবাদ। তারা আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে দিয়েছেন।
‘আমি ২৬ বছর বয়সে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করি। সাধারণত এরকম বয়সে অভিনেত্রীদের বিদায়ের জন্য তল্পিতল্পা গোছানো শুরু করতে হয়। তারা বিয়ে করে সংসারী হয়ে যায়। ধারণা করা হতো, আমার ক্যারিয়ার খুব সংক্ষিপ্ত হবে। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম, জীবনের বাকিটা সময় অভিনয় চালিয়ে যাব। আজ আমার বয়স ৪০। ১৪ বছর পার হয়ে গেল। ভালোভাবেই এগোচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, আমি যতদিন বেঁচে আছি ততদিনই আমার ক্যারিয়ার টিকে থাকবে। সব সময়েই আমার জন্য উপযুক্ত চরিত্র থাকবে। যতদিন আমি চাইব, ততদিন,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এমকেআর