১৯৪৪ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামে আলী যাকের জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালে সেন্ট গ্রেগরি থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন তিনি।
১৯৭২ সালে আরণ্যক নাট্যদলে যোগ দিয়ে মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন আলী যাকের। ওই বছরই নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে যোগ দেন তিনি। ‘বাকি ইতিহাস’, ‘সৎ মানুষের খোঁজে’, ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’, ‘কোপেনিকের ক্যাপটেন’, ‘গ্যালিলিও’, ‘ম্যাকবেথ’সহ অনেক মঞ্চসফল নাটকের সঙ্গে যুক্ত তিনি।
মঞ্চের পাশাপাশি টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন আলী যাকের। টেলিভিশনে ‘আজ রবিবার’, ‘বহুব্রীহি’, ‘তথাপি’, ‘পাথর দেয়াল’সহ অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে নন্দিত তিনি। ৫০টির বেশি বেতার নাটকও করেছেন এই গুণী অভিনেতা। বেশকিছু চলচ্চিত্রেও তাকে দেখা গিয়েছে। নাট্যব্যক্তিত্ব সারা যাকের তার সহধর্মিণী। আলী যাকের ও সারা যাকের দম্পতির ছেলে ইরেশ যাকের ও মেয়ে শ্রিয়া সর্বজয়া অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত।
আলী যাকের একুশে পদক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদকসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
এদিকে, টেলিভিশন ও সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ইরেশ যাকের। তার শৈশব কেটেছে বাংলাদেশে। তবে ১৯৯৪ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি বিদেশে যান। পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরেই অভিনয়ে মনোনিবেশ করেন তিনি।
টেলিভিশন নাটকের পাশাপাশি ‘চোরাবালি’, ‘জিরো ডিগ্রি’, ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘স্বপ্নজাল’ ও ‘দেবী’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন ইরেশ। ২০১৫ সালে ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ খলচরিত্রের অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি।
২০১৮ সালের মিম রশিদকে বিয়ে করেন ইরেশ যাকের। চলতি বছর ৭ আগস্ট তাদের সংসারে একমাত্র কন্যাসন্তান মেহা রশিদ যাকের জন্ম নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
জেআইএম