‘দাদাগিরি’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এক নারী প্রতিযোগী দাবি করেন, তার পেশা হচ্ছে ভূতের খোঁজ করা। কোথাও অলৌকিক ঘটনা ঘটলে তিনি সেখানে ছুটে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন, ভূতের অস্তিত্বের সন্ধান করেন।
মূলত এই বিষয়টিকে ‘বিজ্ঞান বিরোধী’ দাবি করে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য সৌরভ চক্রবর্তী ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘দাদাগিরি’র পর্ব সম্প্রচারিত হওয়ার সাত দিন আগেই প্রতিবাদ জানিয়ে হাইকোর্টে তারা মামলা দায়ের করেন। পর্বটি প্রচারের পর তারা আরও কিছু বিষয় সংযোজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি দাবি করেন, মানুষের মধ্যে কোনো রকম বিজ্ঞান বিরোধী অলৌকিক বিশ্বাস ছড়ানো আইনত অপরাধ। যা ভারতীয় সংবিধানের ৫১ এ এইচ ধারাকে লঙ্ঘন করে। তাছাড়া মহারাষ্ট্রের মতো পশ্চিমবঙ্গেও কুসংস্কার বিরোধী আইনের দাবি জানান তিনি।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। অনেকে এটি শুধুমাত্র টেলিভিশনের টিআরপি (টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট) বাড়ানোর জন্য করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
ফেসবুকে গৌরভ নামের এক ভারতীয় বিষয়টির বিশদ ব্যাখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি লেখেন, ‘দাদাগিরি’তে এক নারী ভূত আছে সেটা প্রমাণ করতে কিছু যন্ত্রপাতি এনেছিলেন। যেগুলো সম্পর্কে বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ একদমই ওয়াকিবহাল নন। কিন্তু আমরা যারা বিজ্ঞানের ছাত্র তারা সহজেই এই ভণ্ডামি ধরতে পারি।
তিনি আরও লেখেন, আপনাদের কাছে অনুরোধ, ভারতবর্ষ এমনিতেই বিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়া একটা দেশ। শুধুমাত্র বেশি টিআরপি’র জন্য দয়া করে এসব আজগুবি ভাঁড়ামো দেখিয়ে মানুষের মনকে আরও কুসংস্কারাচ্ছন্ন করবেন না।
এছাড়া তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চকে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘দাদাগিরি’ অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়টিকে সমর্থন করেন।
কিন্তু পুরো বিষয়টি নিয়ে জি বাংলা কর্তৃপক্ষ এবং সৌরভ গাঙ্গুlলী এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
জেআইএম