বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন আসিফ আকবর। পরে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালতে আসিফ আকবর হাকিমকে বলেন, আমার নির্দিষ্ট পরিমাণ মদ গ্রহণ করার জন্য অনুমোদন আছে। সেই বিষয়ে আমি লাইসেন্স নিয়েছি। প্রতি বছর আমি সরকারকে ট্যাক্স দেই। আমার মাথায় ব্যাথার (ঘাড়ের পেছনের দিকে ব্যাথা) কারণে এটা মাঝে মাঝে গ্রহণ করতে হয়। এ বিষয়ে মেডিক্যালের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী শুনানিতে বলেন, মাদক মামলায় মাত্র চার বোতল মদ উদ্ধার হয়েছে। মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে নির্দিষ্ট পরিমাণ মদ পানের সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে আসামির ইনজুরি থাকায় মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে সীমিত পরিমাণ মাদক গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া ঘটনার এক বছর পর এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। চার্জশিটে অনেকটাই গরমিল করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই ফরিদ মিয়া জানান, আসিফের আইনজীবী এ সময় নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত মদপানের লাইসেন্সসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সনদপত্র আদালতে দাখিল করেন।
এর আগে ১৩ নভেম্বর কার্যালয়ে বিদেশি মদ রাখার অভিযোগে কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক জামাল হোসেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বছরের ৫ জুন দিনগত রাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের একটি মামলায় আসিফকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় আসিফ আকবরের অফিস কক্ষে চার বোতল অবৈধ বিদেশি মদ পাওয়া যায়। মদ পাওয়ার পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মাদকদ্রব্য অধিদফতরে পাঠানো হয়।
লাইসেন্স ছাড়া বিদেশি মদ নিজের দখলে রাখায় তার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৩ জুলাই তেজগাঁও থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন সিআইডি পুলিশের সাইবার তদন্ত শাখার উপ-পরিদর্শক প্রশান্ত কুমার সিকদার।
আসিফের বিরুদ্ধে গীতিকার-সুরকার শফিক তুহিনের আইসিটি আইনে করা মামলায় চার দিন কারাভোগ করেছেন জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
কেআই/জেআইএম