শিল্পীর অভিযোগ, পোস্টারে তার ছবি ব্যবহার করা হলেও নাম ব্যবহার করা হয়নি। শরীরের অন্যান্য অংশ দেখানো হলেও তার মুখ দেখানো হয়নি।
মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে মাসুম পথিক উল্লেখ করেছিলেন, তাকে শুধুমাত্র পাকিস্তানিদের ক্যাম্পে বীরাঙ্গনার ধর্ষণ’র দৃশ্যে ও শিল্পী শাহাবুদ্দিন স্যারের ‘ওমেন’ শিল্পকর্মের ছবি দেখিয়ে হাত বাঁধা দৃশ্যটা করতে বলা হয়। সেও তাই করেছে, অন্যান্য বিশেষ চরিত্রের অভিনেত্রীদের মতো। ক্যাম্পে বীরাঙ্গনার নির্যাতনের দৃশ্যে অভিনয় করতে আসা অন্যসব বিশেষ অভিনেত্রীরাও অভিনয় করেছে নিজেদের দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে, যা রানীও করেছে। এছাড়া তার সঙ্গে আমাদের আর কোনো প্রকার চুক্তি হয়নি। ’
শিল্পী-নির্মাতার মধ্যকার এই ভুল চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। বুধবার (২৭ নভেম্বর) এর অবসান হয়েছে। এই বিষয়ে মাসুদ পথিক বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, নুপুর হোসেন রানীর দাবি অনুযায়ী তার অভিনীত অংশ সিনেমায় সংযোজন করা হয়েছে। সেন্সর বোর্ডের আপত্তি ছাড়া তার অভিনীত অংশ নির্মাতা কর্তন করতে পারবেন না। তবে সেন্সর বোর্ড কর্তন করলে, সে ক্ষেত্রে রানী কোনো প্রকার অভিযোগ করতে পারবেন না।
শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের চিত্রকর্ম ‘ওমেন’ এবং কবি কামাল চৌধুরীর ‘যুদ্ধশিশু’ কবিতা অবলম্বনে ‘মায়া’র চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মাসুদ পথিক।
এতে অভিনয়ে দেখা যাবে, মুমতাজ সরকার (ভারত), প্রাণ রায়, জ্যোতিকা জ্যোতি, দেবাশিষ কায়সার, সৈয়দ হাসান ইমাম, ঝুনা চৌধুরী, নারগিস আক্তার, লীনা ফেরদৌসী, ড. শাহাদাত হোসেন নিপু, আসলাম সানী ও মজিদ প্রমুখ।
ব্রাত্য ক্রিয়েশন প্রযোজিত এই সিনেমাটিতে গান করেছেন- ইমন চৌধুরী, বেলাল খান, কোনাল, ঐশী, পূজা ও মমতাজ।
নেকাব্বরের মহাপ্রায়াণ’খ্যাত মাসুদ পথিকের এটি দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশুদের সত্য গল্প নিয়ে এই প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মিত হলো বাংলাদেশে। সিনেমাটিতে নতুন বাংলা, বাংলা মাকে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নির্মাতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
ওএফবি